ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শ্রমিককে মারধর, আশুগঞ্জ বন্দরে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
শ্রমিককে মারধর, আশুগঞ্জ বন্দরে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: শ্রমিককে মারধরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা।  

রোববার (১১ জুন) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করছেন তারা।

ফলে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে আটকা পড়েছে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে আসা অর্ধ শতাধিক কার্গো জাহাজ। বন্ধ রয়েছে কার্গো জাহাজ থেকে পণ্য খালাস। এতে করে স্থবির হয়ে পড়েছে এই বন্দরের ব্যবসা বাণিজ্য।  

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার জানান, শনিবার কার্গো জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নেতারা আসেন আশুগঞ্জ ও ভৈরব নৌ বন্দরে। এ সময় মালিক পক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই তীরে নোঙরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ মোট ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মারধর করেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে রোববার থেকেই আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি।  

এই মারধরের সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।  

তবে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কো কনভেনার নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, নৌযানের পণ্য পরিবহনের নিয়ম না মেনে চট্টগ্রাম থেকে সিরিয়াল না নিয়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের পক্ষ থেকে আশুগঞ্জ ও ভৈরব নদী বন্দরে জাহাজে তদারকি করা হচ্ছিল। এ সময় জাহাজে থাকা শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়। তাদের অভিযোগ সত্য নয় বলেন জানান তিনি।  

উল্লেখ, আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এ সব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এই বন্দরে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।