ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডাকাতির প্রতিবাদে ১২ জুন লক্ষ্মীপুরের সব স্বর্ণের দোকান বন্ধ রাখবে বাজুস 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
ডাকাতির প্রতিবাদে ১২ জুন লক্ষ্মীপুরের সব স্বর্ণের দোকান বন্ধ রাখবে বাজুস 

লক্ষ্মীপুর: সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর শহরের আর. কে. শিল্পালয়ের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে তার দোকানের স্বর্ণ লুট করেছে ডাকাতদল। এর প্রতিবাদ এবং জড়িতদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার উদ্ধারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।



একই দাবিতে সংগঠনটি ১২ জুন দিনব্যাপী জেলার সব সোনার দোকান বন্ধ রাখার ও মানববন্ধন করার ডাক দিয়েছে।  

রোববার (১১ জুন) দুপুরে বাজুস জেলা শাখার সভাপতি হরিহর পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি জানান, শনিবার (১০ জুন) বাজুস লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার কার্যকর কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোমবার (১২ জুন) বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সামনে বাজুসের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এছাড়া ১২ জুন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জেলার সব উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও প্রতিটি বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা তাদের দোকান এবং কারখানা বন্ধ রাখবেন। বিকেলে দোকান মালিক এবং কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশ নেবেন।  

এর আগে বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাত থেকে আটজনের একটি ডাকাতদল ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ‘আর. কে. শিল্পালয়’ নামে ওই সোনার দোকানে হানা দেয়। ডাকাতদল এসময় দোকানের মালিক অপু কর্মকারকে কুপিয়ে জখম করে এবং সব সোনার গহনা লুট করে নিয়ে যায়। অপুকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেশ কিছু ককটেল উদ্ধার করে।  

এদিকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের ইটেরপুল এলাকায় ডাকাতদলের পিকআপ ভ্যানের চাপায় সফি উল্যা (৬০) নামে এক পথচারী নিহত হন। এতে আহত হন ইসমাঈল হোসেন নামে আরও এক পথচারী।  
সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতদলের সদস্য সবুজ ও মনসুর ওরফে রনিকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে সবুজের বাড়ি বরগুনা জেলায় এবং মনসুরের বাড়ি নরসিংদীতে। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। দোকানের মালিকের দাবি, ডাকাতদল আনুমানিক ২০ ভরি স্বর্ণ লুট করে নিয়েছে।  
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় সদর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে একটি ডাকাতির, আরেকটি বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি সড়ক দুর্ঘটনার। এসব মামলায় আটক দুজনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। আটক দুজনকে শুক্রবার (৯ জুন) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩ 
এসআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।