ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

চামড়া অন্যতম রপ্তানি আয়ের খাত হলেও সঠিক মূল্য পাওয়া যায়নি: লিটন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
চামড়া অন্যতম রপ্তানি আয়ের খাত হলেও সঠিক মূল্য পাওয়া যায়নি: লিটন রাজশাহীর পুননির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, চামড়া আমাদের অন্যতম একটি রপ্তানি আয়ের খাত। তবে অতীতে নানা কারণে চামড়ার সঠিক মূল্য না পাওয়া যায়নি।

যে কারণে এটি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়নি। আর তাই এখান থেকে দেশ সেভাবে উপকৃতও হয়নি। কিছু সিন্ডিকেট সব সময়ই চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণ করে রাখে।

রাজশাহীতে ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে নামাজ আদায়ের পর গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টায় হযরত শাহ মখদুম (রহ.) জামে মসজিদে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ প্রধান জামাতে ইমামতি করেন মহানগরীর হেতমখাঁ বড় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা ইয়াকুব আলী। ঈদের নামাজের পর মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন নগরপিতা খায়রুজ্জামান লিটন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মানুষ কিন্তু সাধারণত নিজের পরিবারের জন্য চামড়া রাখে না। এটি সাধারণত মানুষ মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান করে দেন। কিন্তু কিছু সিন্ডিকেট চামড়ার মূল্য এমনভাবে নির্ধারণ করে রাখে, যার কারণে তখন তারাও এটির মূল্য ঠিকমতো পান না। তাই এটি ঠিকমতো সংরক্ষিত হয় না। কাজেই আমি অনুরোধ করবো চোরাচালান বন্ধ করতে হবে, চামড়া ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা যারা কোরবানি দেই তারা যাতে লবণ দিয়ে গরু বা খাসির চামড়া প্রাথমিক সংরক্ষণের কাজটি করি। পশুর থেকে চামড়া খুলে নেওয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কেটে না যায়। তাহলে চামড়া বিক্রির উপযোগী হবে এবং সময় নিয়ে তখন দেখেশুনে ভালো দামে বিক্রিও করা যাবে।

রাজশাহীর পুননির্বাচিত মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, অতীতেও রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভালোভাবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে। আজকেও সন্ধ্যার মধ্যে সব কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো আমরা। তিনি এ সময় নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যে ফলাফল দেখলাম তাতে অন্য সিটিতে ৫০ এর আশপাশে ৪৬-৪৭ বা ৪৮ শতাংশ এমন ছিল এমন ভোটের হার। রাজশাহীতে সেটি অনেক বেশি, ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ। ভোট আরেকটু বেশি হতো যদি হঠাৎ করে বেলা ১১টার দিকে বৃষ্টি শুরু না হতো। কাজেই যারা নির্বাচন নিয়ে নানা রকম কথা বলছেন যে, নির্বাচন হবে না: জনগণ আসবে না। আসলে বিষয়টি তেমন নয়। যদিও স্থানীয় সরকার এবং জাতীয় সরকার নির্বাচনের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। এরপরও আমরা আশা করব সব দলই আলটিমেটলি নির্বাচনে অংশ নেবে এবং নির্বাচনটি উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএস এম জাফরউল্লাহ, রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং মহানগরীর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এসএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।