ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানির খবরেই ঝাল কমল কাঁচা মরিচের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৩
আমদানির খবরেই ঝাল কমল কাঁচা মরিচের

ফরিদপুর: আমদানির খবরে অবশেষে ফরিদপুরের হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কমতে শুরু করেছে।  

এক দিনের ব্যবধানে রোববার (২ জুলাই) থেকে ফরিদপুর শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম কমে ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গতকাল শনিবার (১ জুলাই) যেই কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রচণ্ড খরায় মরিচ গাছে ফলন কম। তার ওপর গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে বিভিন্ন স্থানের ক্ষেতে মরিচ গাছ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে চাহিদার তুলনায় বাজারে আমদানির স্বল্পতা ও ঘাটতি দেখা দেয়। এছাড়া অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অধিক মুনাফা লুটতে কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি ও বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে।

ফরিদপুর শহরের গুহলক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা ও চাকরিজীবী আলমগীর জয় বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচা মরিচ সাধারণত চাহিদা ও যোগানের ভিত্তিতে দাম নির্ধারিত হয়। ঈদের দিন বিকেল থেকে দাম বেড়েছে এ ধরনের অতিরঞ্জিত ফেসবুক প্রচারের কারণে ২০০ টাকার মরিচ ক্রমান্বয়ে বেশি দামে বিক্রি শুরু হয়। এ দাম ফরিদপুরের একেক জায়গায় একেক রকমের ছিল। যা মরিচের প্রকৃত দাম নয়।  

তিনি বলেন, যেহেতু মরিচ দীর্ঘমেয়াদি মজুদ করা এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যবহার যোগ্য নয়, তাই ফেসবুকের অপপ্রচার মরিচের দাম বাড়ার বিষয়টি স্থায়ী করতে পারেনি। যার উদাহরণ রোববার সন্ধ্যায় সরকারি তিতুমীর বাজারের সাপ্তাহিক হাটে ২৫০-৩০০ টাকায় মরিচ বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল সোমবার (৩ জুলাই) এ দাম ২০০ টাকার নিচে চলে আসবে বলে ধারণা করছি।

ফরিদপুরের সালথার সংবাদকর্মী আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, রোববার সকালে সালথা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে বিকেলে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে এখন ২৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক পান্না বালা বাংলানিউজকে বলেন, খরা এবং অতি বৃষ্টির কারণে মরিচ গাছগুলো মরে যাওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম আকস্মিক বেড়ে গিয়েছিল। ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানির খবরে সিন্ডিকেটগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ায়, কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। আগামীকাল থেকে এ মরিচের দাম আরও কমবে বলে মনে করছি।  

এ বিষয়ে ফরিদপুরের মধুখালী আড়ত মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভবতোষ দাস বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর সিন্ডিকেটের কারণে হঠাৎ করে বাজারে অস্বাভাবিক হারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়। ভারত থেকে রোববার টনে টনে কাঁচা মরিচ আসা শুরু হয়েছে। এই আমদানির খবরে মরিচের দরও পড়তে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও কমে আসবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফরিদপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সোহেল শেখ বাংলানিউজকে বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ফরিদপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা মরিচের অতিরিক্ত দাম রোধে অভিযান চালাচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে আগামী কয়েকদিনও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। আশা করছি, দ্রুতই কাঁচা মরিচের দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যে চলে আসবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।