চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সুদৃঢ় ও সাহসী পদক্ষেপের মাধ্যমে দৃশ্যমান হয়েছে তিনটি বৃহত্তম মেগা প্রকল্প। এ দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্নে লালিত নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল এবং সব শেষে ইলেকট্রনিক মেট্রোরেল।
এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে তৈরি হচ্ছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ট্যুরিজম পার্ট, ডিএফসি পোর্ট, বিমানবন্দর এবং সমুদ্রবন্দর। পর্যটননগরী কক্সবাজারকে আকর্ষণীয়করণ এবং সর্বোপরি রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে আপনার গৃহীত পদক্ষেপ কার্যক্রমগুলো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আমাদের জিডিপি ২ থেকে ৩ শতাংশ বেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম তথা দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে আপনার এ অনন্য অবদানের জন্য সমগ্র বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার হাত ধরে একদিন এ দেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। এটাই আমাদের বিশ্বাস। সম্মানিত সুধী, ২০২৬ সাল নাগাদ আমরা উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের ভাবমূর্তি বাড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন নতুন পথ উন্মোচিত হবে। তবে সামনের দিনগুলোতে আমাদের যেমন প্রাপ্তি রয়েছে তেমনি আছে চ্যালেঞ্জ।
গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে আমাদের রপ্তানি পণ্য ও মান উভয় দিক থেকে চরম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। এতে রপ্তানি খাত এবং দেশীয় শিল্পসমূহ সমস্যায় পড়তে পারে। ফলে বর্তমান রপ্তানি বাজার ধরে রাখা, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এবং দেশীয় শিল্পকে রক্ষা আমাদের জন্য জরুরি। সে জন্য গবেষণা উদ্ভাবনের মাধ্যমে রপ্তানি খাতে নতুন নতুন পণ্য সংযোজন, পণ্যের মান উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতা মূল্যে উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমাদের কাজ করতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্মার্ট বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দেশের সেল ফুড কমিটির ট্রেডিংয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের যৌথ সহযোগিতা গ্লোব চেইন টেকনোলজির ভিত্তি ন্যাশনাল সেন্টার ডিজিটাল প্ল্যাটফরম করা জরুরি। যা একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফরম হিসেবে কমিটিটি ট্রেডিং বেল চেইনে উৎপাদক আমদানি খাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে সম্পৃক্ত সব ট্রেডার ওয়্যার হাউস এবং পরিবহনকারী সবার কাছে বিদ্যমান পণ্যের রিয়েল টাইম ইনফরমেশন বাজার মনিটরিং অথরিটির কাছে প্রেরণ করা হবে। এর মাধ্যমে যে কোনো সময় যে কোনো পণ্যের প্রকৃত মজুদের তথ্য জানা যাবে। যা বাজারের সব কারসাজি রোধে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ‘উই ওয়ান্ট প্রোডাক্ট স্ট্যাবিলিটি’।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসআইএস