ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সংকটের কারণেই ডিমের দাম বেড়েছে: বিএবি সাধারণ সম্পাদক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
সংকটের কারণেই ডিমের দাম বেড়েছে: বিএবি সাধারণ সম্পাদক

ঢাকা: ডিমের সংকটের কারণেই দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (বিএবি) সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান।

রোববার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

ডিমের দাম এত বেড়ে যাওয়ার পেছনের কারণ কী- জানতে চাইলে মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এই কথা বলে আসছি, ডিমের দাম কিন্তু কোরবানির ঈদের পরে অনেক বাড়তে থাকবে। কেন বাড়তে থাকবে? কারণ গত বছর থেকে দেখছি যে, ডিমের দাম বাড়ল, কিন্তু বাচ্চার দাম বাড়ল না। দেখা যাচ্ছে, বাচ্চার উৎপাদন খরচ প্রায় ৫০ টাকা। কিন্তু বছরের পর বছর লেয়ার বাচ্চা ৩০ টাকা, ২৫ টাকা, ১৫ টাকা- এভাবে বিক্রি হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি, খামারিরা খামার করতে চাচ্ছে না অর্থাৎ খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা উৎসাহ পাচ্ছে না।

এই ব্যবসায় নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, দেখা গেল হঠাৎ করে গরম হলে মুরগি মারা গেল। রোগেও নানা সমস্যা হয়। হঠাৎ বৃষ্টি এলো, দেখা গেল বৃষ্টির আওয়াজের ভয়ে মুরগির উৎপাদন কমে গেল। এই ব্যবসায় নানাবিধ সমস্যা, সংকট। এত টাকা ইনভেস্ট করে কখনো লাভ হয়, কখনো লস হয়। এই অনিশ্চয়তার কারণে বেশিরভাগ খামারিরা কিন্তু অনুৎসাহিত হচ্ছেন।  

মাহবুবুর রহমান বলেন, মাঝখানে দ্রব্যমূল্য এবং ফিডের দাম বেড়েছে। যুদ্ধের কারণে আমদানি বন্ধ হয়েছে। গত বছর ২০ টাকার ভুট্টা ৪০ টাকা হয়ে গিয়েছিল, ৪০ টাকার সয়াবিন কেক ৮০ টাকা হয়ে গিয়েছিল। ফিডের খরচ অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। ফিডের খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে লেয়ার খামারিরা কিন্তু ব্যাপকভাবে লস করে। গত পাঁচ বছরের ইতিহাসে আপনারা দেখবেন, বেশিরভাগ সময় খামারিরা লস করায় তারা উৎসাহ পাচ্ছে না এ ব্যবসা করার জন্য।  

তিনি বলেন, আগে যে গ্রামে ২০টি খামার ছিল সে গ্রামে এখন পাঁচটি খামারও কিন্তু চলছে না। যে গ্রামে ৩০টি খামার ছিল সে গ্রামে এখন ১০টি খামারও চলছে না। এই যে উৎপাদনে ব্যাপক ঘাটতি, এটি কিন্তু একদিনে হয়নি। এটি লম্বা সময়ের একটি ফল।  

মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন হঠাৎ করে দেখা যাচ্ছে অনেক খামার বন্ধ। যাদের খামারগুলো বড় ছিল, তারাও ছোট করে ফেলেছে। তাতে মোট উৎপাদন কমেছে। আমাদের দেশে এখন প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিম দরকার। উৎপাদন হচ্ছে চার কোটি বা চার কোটি ২০ লাখ। কখনো-কখনো আরও কম হচ্ছে। এটি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। এখানে যদি উৎপাদন ১০ লাখ কমে, তাহলে কিন্তু ক্রাইসিস (সংকট) হয়ে যায়। আর যদি ১০ লাখ বেশি হয়, তাহলেও কিন্তু ওভার প্রোডাকশন হয়ে যায়।

তাহলে আপনি কি বলছেন সংকটের কারণে ডিমের দাম বেড়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানত ক্রাইসিসই। এ সময় যদি খামারগুলোকে উৎসাহ দেওয়া যায়, বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে যে খামারগুলো হচ্ছে, তাদের যদি ভর্তুকি দেওয়া যায় এবং সরকারের নানা সহযোগিতা যদি তারা পায়, আমার মনে হয় আবার উঠে দাড়াতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।