ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

যে কারণে হালকা প্রকৌশল খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
যে কারণে হালকা প্রকৌশল খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না  ছবি: ডিএচ বাদল

ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেছেন, হালকা প্রকৌশল খাতের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সহায়ক নীতি কৌশলের অভাবে পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছি না।

তিনি বলেন,  শিল্পের বাজার প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন ডলারের।

যেখানে বাংলাদেশ ২০২২ অর্থবছরে রপ্তানি করেছে প্রায় ৭৯৫ মিলিয়ন ডলার। এবং তার বিপরীতে আমদানি করেছে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আমাদের প্রতিবেশী ও প্রতিযোগী দেশ চীন ও ভারতের  হালকা প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ যথাক্রমে ২০০ বিলিয়ন এবং ১১২.১৬ বিলিয়ন ডলার। অপর্যাপ্ত উন্নয়ন আমদানির বিকল্প শিল্প কৌশল বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে কমিয়ে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে ‘ইমপোর্ট সাবস্টিটিউট ইন্ডাস্ট্রিজ ইন বাংলাদেশ: পারসপেক্টিভ অব লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে  তিনি এ কথা বলেন।  
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান।

এই খাতের অপর্যাপ্ত উন্নয়ন আমদানির বিকল্প শিল্প স্ট্রাটেজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে কমিয়ে দিয়েছে। এই আমদানি বিকল্প শিল্প কৌশল বাস্তবায়নের জন্য কিছু সময়োপযোগী প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।  

প্রস্তাবনাগুলো হলো -

১) হালকা প্রকৌশল খাতকে আমদানি বিকল্প শিল্পে রূপান্তর করার বিশাল সুযোগ বিবেচনায় লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০২২’ এ উল্লেখিত ১১টি কৌশলগত সময়াবদ্ধ কর্ম-পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।

২) জিডিপিতে হালকা প্রকৌল খাতের অবদান ৩% থেকে ১০%-এ উন্নীত করার জন্য, জরুরি ভিত্তিতে হালকা প্রকৌশল পণ্যের নীতি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রিফর্ম নিশ্চিত করা। একইভাবে, অগ্র ও পশ্চাৎ সংযোগমুখী শিল্পের উন্নয়ন প্রয়োজন।

৩) শিল্প নীতি-২০২২ এ হালকা প্রকৌশলে খাতকে রপ্তানি বহুমুখী খাত হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ খাতটিকে একটি উচ্চ-অগ্রাধিকার খাত হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা শিল্প নীতি ২০২২-এ হালকা প্রকৌশল খাতকে একটি উচ্চ-অপ্রাধিকার খাত হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানাই যাতে এই খাতের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত প্রণোদনা প্রদান করা যায়।

৪) ২০২৫  সালের মধ্যে জিডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ২৭.০৫% অর্জনের জন্য হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি স্থানীয় ভ্যালু চেইন এবং অনেক সহযোগ শিল্পের সাপ্লাই চেইনকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে।

৫) চীন এবং ভারত বিশ্ব বাজারে হালকা প্রকৌশল ব্যবসায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। তাদের উল্লেখযোগ্য নীতি এবং রপ্তানি উন্নয়ন কৌশলকে আমরা অনুসরণ করতে পারি। এছাড়া, তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রযুক্তি আনতে পারে। তাদের অনুকরণে হালকা প্রকৌশল ল্যাব স্থাপন এবং হালকা প্রকৌশল খাতের উন্নয়নের জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবন কৌশলকে অনুসরণ করতে পারে।

৬) বর্তমান হালকা প্রকৌশল পণ্য আমদানির শুল্ক কাঠামো স্থানীয় এ খাতের উন্নয়নে বাধার অন্যতম কারণ। স্থানীয় হালকা প্রকৌশল খাতকে রক্ষা করতে, শুল্ক কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে এবং এই খাতের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে জানতে জাতীয় পর্যায়ে একটি গবেষণা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪,  ২০২৩
জেডএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।