ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজার অপরিবর্তিত, বেড়েছে মুরগির দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
সবজির বাজার অপরিবর্তিত, বেড়েছে মুরগির দাম

ঢাকা: চলতি সপ্তাহে সবজির বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার এসব বাজারে বেগুনের কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৪০০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে শীতকালীন সবজির বাজার চড়া থাকতে দেখা গেছে। ছোট বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৪০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২২০ টাকা, পাকা টমেটো ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  

সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১৭০ টাকা দরে। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা দাম বেড়েছে।

তালতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আউয়াল বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় আমরাও দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছি। দাম কমে গেলে আমরাও দাম কমিয়ে দেব।

তিনি আরও বলেন, কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, যেটি গত সপ্তাহে ছিল ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ১০ টাকা বেড়ে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

ক্রেতারা বলছেন, কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেন। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণে না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

তালতলা বাজারে মো. রিপন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে ১৭০ টাকা দরে মুরগি কিনেছিলাম। আজ ১৮০ টাকায় কিনলাম। বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন। খুচরা বাজারে সরকারের মনিটরিং জরুরি।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।  

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা।  

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙাশ ১৯০ থেকে ২২০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।