ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মুরগির দাম অপরিবর্তিত, চড়া সবজির বাজার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
মুরগির দাম অপরিবর্তিত, চড়া সবজির বাজার 

ঢাকা: একদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে গ্রীষ্মকালীন সবজি প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।  তবে সব ধরনের মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজারঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একদিনের ব্যবধানে গ্রীষ্মকালীন সবজি দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। শুধু তাই নয় শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে, ক্রেতাদের অভিযোগ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তাদের জিম্মি করে তারা ব্যবসা করছে। কারণ ছাড়াই নানা অজুহাতে বিক্রেতারা পণ্যে দাম বাড়িয়ে দেয়। খুচরা বাজারে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন তারা।

এ ব্যাপার শেওড়া পাড়া বাজারে মো. দেলোয়ার নামে একজন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, গতকাল শিম কিনলাম ২৪০ টাকা কেজি আজ সেটা ২৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। করোলা ৫০ টাকা কিনলাম আজ সেটি ৬০ টাকা।  বিক্রেতারা নানা অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছে। খুচরা বাজারে সরকারের মনিটরিং জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

বুধবার এসব বাজারে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকায়, ধুন্দুল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ৪০০ টাকা, কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে।  আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে, ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে , কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ফুলকপি ছোট আকারের ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, পাকা টমেটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা এবং গাজর ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে বয়লার মুরগির ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে একই দামে বয়লার মুরগির বিক্রি হয়েছে। কক মুরগি ৩২০ টাকা, কক হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা  এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায়।

বাজারে গরুর মাংস দাম কেজি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি ১০৫০-১১০০ টাকা।  

এসব বাজারে এক কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা , মৃগেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকায়, বোয়ালমাছ প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায়, কাতল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়,  তেলাপিয়া ২২০ টাকায়,  কৈ মাছ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
এসএমএকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।