ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলোচনা সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি

বাংলাদেশের জন্য ক্লিন এনার্জির উৎস হতে পারে নেপাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
বাংলাদেশের জন্য ক্লিন এনার্জির উৎস হতে পারে নেপাল

ঢাকা: বাংলাদেশের জন্য ক্লিন এনার্জির অন্যতম উৎস হতে পারে নেপাল। এমনটি বলেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।

মঙ্গলবার সকালে (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত নেপালের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। নেপালের প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির শিল্প বিভাগের মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) বাবুরাম গৌতম।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার আকর্ষণীয় একটি খাত হতে পারে জ্বালানি খাত। আমরা এখন আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যাত্রায় রয়েছি।  

তিনি বলেন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির চাহিদা দিনদিন বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ; বিশেষ করে ক্লিন এনার্জি আমদানি, বাংলাদেশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে। পাশাপাশি বৈশ্বিক মার্কেটে কমপ্লায়েন্স অর্জনে সাহায্য করবে 

নেপাল থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে তা আমদানি খাতকেও আরও সমৃদ্ধ করতে ভূমিকা রাখবে বলেও মন্তব্য করেন মাহবুবুল আলম।

তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর। উভয় দেশই সার্কের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বিমসটেকের সক্রিয় সদস্য; আঞ্চলিক বাণিজ্যে দুই দেশই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, বাংলাদেশ এখন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার পথে রয়েছে। এ যাত্রা সহজিকরণে বাজার এবং পণ্য বৈচিত্র্যেকরণে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি খাত কাজ করছে।  

এ সময় নেপালের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগেরও আহ্বান জানান তিনি।

নেপালের শিল্প বিভাগের যুগ্ম সচিব বাবুরাম গৌতম বলেন, অংশীদারত্বের দিক থেকে বাংলাদেশ ও নেপালের পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীলতা আরও গতিশীল হচ্ছে। নেপালের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ বেশকিছু রপ্তানি পণ্যের উচ্চ চাহিদা রয়েছে।

মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই নেতারা তৈরি পোশাক খাতের বিপ্লব, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, প্লাস্টিক, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি সামগ্রী, আইসিটি খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কম আমদানি ব্যয়ের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ নেওয়ার জন্য নেপালকে আহ্বান জানান।

বৈঠকে এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি খায়রুল হুদা চপল, যশোদা জীবন দেবনাথ, মুনির হোসেন, পরিচালকরা, মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইর আন্তর্জাতিক শাখা প্রধান রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩
এমকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।