ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ মুহূর্তে রিটার্ন জমা দেওয়ার ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
শেষ মুহূর্তে রিটার্ন জমা দেওয়ার ভিড়

ঢাকা: নভেম্বরব্যাপী চলছে আয়কর সেবা মাস। আর মাত্র চারদিন বাকি।

শেষ বেলাতে আয়কর অঞ্চলগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিভিন্ন কর অঞ্চল ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

শুরুতে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সংখ্যা কম হলেও মাসের শেষ দিকে বাড়ছে রিটার্ন জমা দেওয়া বেড়েছে।

সেগুনবাগিচায় কর অঞ্চল ১ ও ৮ নম্বরে রোববার সকালে দেখা যায়, বুথগুলোতে দীর্ঘ লাইন। নারী-পুরুষ সবাই একই লাইনে দাঁড়িয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন। জমা নেওয়ার কাজটিও দ্রুত হচ্ছে।

ব্যবসার ব্যস্ততা, ব্যাংকে স্থিতি-পত্র ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্রে স্থিতি সার্টিফিকেট সময়মতো না পাওয়ার কারণে অনেকে রিটার্ন দিতে দেরি হয়েছে বলে জানান। শেষের দিকে সময় বাড়ানো হয়, এমন আশাতে আস্তে-ধীরে আসছেন অনেকে।

আয়কর জোন-১২ এর আয়কর রিটার্ন দাতা আবির হাসান বলেন, আগে থেকেই এই সময়টা ঠিক করে রেখেছিলাম। সেই মোতাবেক আজ এসেছি, আগে-পরের কোনো বিষয় নয়।

নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এক লাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়টি খারাপ লেগেছে জানিয়ে আবির হাসান বলেন, উচিত ছিল অন্তত দুটি বুথ ডেডিকেটেড রাখা। তাহলে বয়োজ্যেষ্ঠরা একটু আয়েস করে আয়কর রিটার্ন দিয়ে চলে যেতে পারতেন।

অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন, সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য একটি ভিন্ন বুথ রাখা দরকার ছিল। পাশাপাশি নারী করদাতাদের জন্য একটি ভিন্ন বুথ রাখা দরকার ছিল, কিন্তু এটা করেনি। অথবা এমনও করা যেত সিনিয়র সিটিজেন ও নারী এলে কর অঞ্চলের লোকজন নিজেরা এগিয়ে কাজটি দ্রুত করে দিতে পারতো। এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, কে কাকে ধাক্কা দিয়ে আগে নিজের কাজটি করে নিতে চাচ্ছে।

তবে কর অঞ্চল ৮-এর একজন অতিরিক্ত কর কমিশনার নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, যথেষ্ট সংখ্যক বুথ রাখার কারণে ধীরে সুস্থে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থা আছ। কিন্তু শেষের দিকে একটু চাপ বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা হয়েছে। কোনো সিনিয়র সিটিজেন এলে জোনের স্টাফরা গিয়ে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সার্বিকভাবে আয়কর সেবার মাস নভেম্বরে কর অঞ্চলগুলোতে রাজস্ব কর্মকর্তারা কর সেবা দিচ্ছেন। গতবারের মতো এ বছর ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে করসেবা দিচ্ছেন কর্মকর্তারা।

হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী বর্তমান দেশে টিআইএন ধারীর সংখ্যা প্রায় ৯০ লাখ। এর মধ্যে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫টি। তার আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫টি। এবার ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নেভেম্বর ২৬, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।