হবিগঞ্জ: দেশে রপ্তানিযোগ্য মাছ ‘কুঁচিয়া’ উৎপাদনের ১১ শতাংশই জন্মে হবিগঞ্জ জেলার হাওরে। যার আন্তর্জাতিক বাজারে যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (৭ মে) হবিগঞ্জে কুঁচিয়া মাছ ধরা ও মজুদকরণ শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ফিশারি প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (এফপিবিপিসি) ও বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএলসিএফইএ) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
সেখানে সুস্থ-সবল কুঁচিয়া ধরা, মজুদ ও বাজারজাতকরণের ব্যাপারে মৎস্যজীবীদের বিজ্ঞানভিত্তিক ধারণা দেওয়া হয়। এ সময় মৎস্যজীবীরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরলে তা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, গত অর্থ বছরে সারা দেশে ৯ হাজার ৪৮৮ কেজি কুঁচিয়া উৎপাদন হয়েছিল। যা থেকে ২ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন রপ্তানি হয় চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
গেল অর্থ বছরে হবিগঞ্জ জেলায় কুঁচিয়া উৎপাদন হয় ৯৭৮ মেট্রিক টন। যা সারা দেশে মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশ থেকেও বেশি। ৪৬০ টাকা কেজি দরে এসবের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সাধারণত জলাশয়ে চাষ ও প্রাকৃতিক উপায়ে কুঁচিয়া উৎপাদন করা হয়। তবে হবিগঞ্জের পুরোটাই আসে প্রাকৃতিক উৎস অর্থাৎ হাওর থেকে। এখানকার জেলেরা বড়শি, কাঁদায় হাত ও ট্রাপ পদ্ধতিকে কুঁচিয়া উৎপাদনে পারদর্শী।
মৎস্য বিভাগ জানায়, হবিগঞ্জে কুঁচিয়া উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাওয়া কুঁচিয়া ও কাঁকড়া চাষ সংক্রান্ত প্রকল্পটি চালু করা প্রয়োজন।
হবিগঞ্জে কুঁচিয়া মাছ ধরা ও মজুদকরণ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব কাজী মাহাবুবুল আলম আজাদ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান মজুমদার। নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার ৫০ জন কুঁচিয়া আহরণকারী এবং আড়তদার এতে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২৪
এসআরএর