বরিশাল: ঘূর্ণিঝড় রিমালের পর দিন যত যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ততই ফুটে উঠছে। বিপুলসংখ্যক ঘরবাড়ি, গাছপালা বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামারবাড়ি বরিশালের উপপরিচালক মো. মুরাদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৭ মে ও ২৮ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধিজনিত কারণে জেলায় বিভিন্ন ফসলের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষি খাতের ১১০ কোটি ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে শুধু পান চাষে ৯৮ কোটি ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বরিশাল জেলায়।
তথ্য বলছে, জেলায় ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমির পান। এখান থেকে ৮৯৬ হেক্টর জমির পান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, মোটের ওপর শুধু পান উৎপাদনেই ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজার ২৭২ মেট্রিক টন হতে পারে। বরিশাল জেলায় প্রায় ৯ হাজার পান চাষি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তবে পানের বাইরে আউশ ধানে ৯ হাজার ৭১১ কৃষক পরিবার, শাক-সবজিতে ৪ হাজার ১৭৫ কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর কলা পেঁপেসহ সব ফসল মিলিয়ে জেলায় মোট ২৪ হাজার ৩০৫টি কৃষক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এমএস/এমজেএফ