ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বাজারে অনিয়ম রোধের বিষয়ে বাজেটে কিছু বলা নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
‘বাজারে অনিয়ম রোধের বিষয়ে বাজেটে কিছু বলা নেই’ ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থকে বৈধ করার সুযোগের বিষয়ে যে কথা বলা হয়েছে তার সমালোচনা করেছে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম। তাদের এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়েছে, বাজারে অনিয়ম ও অর্থপাচার রোধে কী করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি বাজেটে।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্রাক সেন্টার ইনে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ ও বিরাজমান পরিস্থিতিতে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের প্রাপ্তি’ শীর্ষক ওই মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা বলা হয়।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. তৌফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আয়করে কোথায় ছাড় আছে সেটা বাজেটে বলা হয়েছে। বড়ভাবে ছাড় কমানো হয়েছে পরোক্ষ করে। গার্মেন্টস, জ্বালানি, মাইক্রোক্রেডিটের মত প্রত্যক্ষ করের ছাড়ের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আগামীতে কী করা হবে এই বিষয়েও দিক-নির্দেশনা নেই। আয়করের ছাড়ের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপও নেই।

এ সময় কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের সমালোচনা করেন তিনি। তৌফিকুল ইসলাম বলেন, কাউকে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। এটা মানা যায় না।

সিপিডি এ জ্যেষ্ঠ গবেষক বলেন, বাজেটে অর্থনৈতিক অবস্থা পুনরুদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। আমরা খুবই আশাবাদী। এর থেকে চমৎকার স্বপ্ন আর হয় না। কিন্তু এটা বাস্তবায়নে কোনো দিক-নির্দেশনা নেই। ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।  

‘যে কারণে আমরা অর্থনৈতিক সংকটে পড়লাম। সেটা ভালোভাবে চিহ্নিত করা হয়নি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে বের হয়ে যাওয়া হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টর, সুশাসন নিয়ে আলোচনা নেই। বাজারে অনিয়ম, অর্থপাচার রোধে কী হবে, দায়-দেনার ক্রাইসিস চিহ্নিত করা হয়নি। ’

তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, সামষ্টিক অর্থনীতিতে আমাদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে হবে। নিম্ন আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ খাদ্য অনিরাপত্তায় ভুগছে। তাদের আমাদের সুরক্ষা দিতে হবে। সরকার বলছে, এ বছর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে। যদি এমনটি হয়, তাহলে চমৎকার বিষয় হবে। তবে আমাদের কৃষিখাতে বরাদ্দ কমে গেছে। খাদ্যে ভর্তুকি কমে গেছে।  

তিনি আরও বলেন, বড় আকারে আমরা ঋণের পরিস্থিতিতে পড়েছি, সেটা স্বীকার করা হয়নি। গত অর্থবছরে বিদেশি ঋণ শোধ করার জন্য আমাদের রাজস্ব যথেষ্ট ছিল না। আমরা প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ করে পরিশোধ করেছি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় শিক্ষা ও অর্থনীতি অনুষদের ডিন ড. এ. কে. এম. এনামুল হক, লেখক ও কলামিস্ট ইলিরা দেওয়ান, ওয়াটার এইডের (দক্ষিণ এশিয়া) আঞ্চলিক পরিচালক ড. মো. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।