ঢাকা: বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অতিদ্রুত সম্পাদন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে তুরস্ক। একইসঙ্গে জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধিরও তাগিদ দেয় দেশটি।
বুধবার (২১ জানুয়ারি) ইস্তাম্বুলে ওআইসি দেশগুলোর পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১০ম সম্মেলন চলাকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এসব তাগিদ দেন তুরস্কের পার্লামেন্টের স্পিকার জেমিন চিচেক।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আলাপকালে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ও সমস্যাহীন বলে মন্তব্য করে জেমিন চিচেক বলেন, তুরস্কের অবকাঠামো নির্মাণখাত চীনের পর বিশ্বে ২য় বৃহত্তম যা বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে ভূমিকা রাখতে পারে।
এ সময় তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) পর্যবেক্ষক মর্যাদা পাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের সমর্থন কামনা করেন।
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দু’দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান তিনি।
একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত তৈরি পোশাকের ওপর আরোপিত সেইফগার্ড শুল্ক তুলে দেওয়ার জন্য তুরস্ককে অনুরোধ জানান ডেপুটি স্পিকার।
সম্মেলন চলাকালে ডেপুটি স্পিকার ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলী লারিজানীর সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা, বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে উভয় স্পিকারই একমত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৫