ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৬ দিনে ক্ষতি সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫
১৬ দিনে ক্ষতি সাড়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হরতাল-অবরোধে ১৬ দিনে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে ৩৬ হাজার ৪৪৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি হোসেন খালেদ।

বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) মতিঝিলের ডিসিসিআইয়ের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিসিসিআই।
 
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ বলেন, চলমান হরতাল ও অবরোধে দেশের দৈনিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে দুই হাজার ২৭৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যার মধ্যে পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্তে আর্থিক ক্ষতি ৬৯৫ কোটি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৩০০ কোটি, কৃষি খাতে ২৮৯ কোটি, আবাসন খাতে ২৫০ কোটি, পর্যটন খাতে ২১০ কোটি, পাইকারি বাজার ও শপিং মলে ১৫০ কোটি, পোশাক খাতে প্রায় ১৪৮ কোটি, উৎপাদন খাতে ১০০ কোটি, স্থলবন্দর ও বঙ্গবন্ধু সেতু খাতে ২২ কোটি, সিরামিক খাতে ২০ কোটি, পোল্ট্রি শিল্প খাতে ১৮ কোটি, প্লাস্টিক খাতে ১৮ কোটি, বীমা খাতে ১৫ কোটি, হকার্স খাতে ১৫ কোটি, স্থলবন্ধরের আমদানি পণ্য খালাসে ১০ কোটি হিমায়িত খাদ্যে ৮ কোটি টাকা দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে।
 
তিনি জানান, এছাড়া গত ১৬ দিনে পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্তে আর্থিক ক্ষতি ১১ হাজার ১২০ কোটি, পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৪ হাজার ৮০০ কোটি, কৃষি খাতে ৪ হাজার ৬০৯ কোটি, আবাসন খাতে ৪ হাজার কোটি, পর্যটন খাতে ৩ হাজার ৩৬০ কোটি, পাইকারি বাজার ও শপিং মলে ২ হাজার ৪০০ কোটি, পোশাক খাতে প্রায় ২ হাজার ৩৬০ কোটি, উৎপাদন খাতে এক হাজার ৬০০ কোটি, স্থলবন্দর ও বঙ্গবন্ধু সেতু খাতে ৫২৯ কোটি, সিরামিক খাতে ৩২০ কোটি, পোল্ট্রি শিল্প খাতে ২৯২ কোটি, প্লাস্টিক খাতে ২৮৬ কোটি, বীমা খাতে ২৪০ কোটি, হকার্স খাতে ২৪০ কোটি, স্থলবন্ধরের আমদানি পণ্য খালাসে ১৬০ কোটি, হিমায়িত খাদ্যে ১২৮ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বছরে এক দিনের হিসেবে মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) ৩ হাজার ৭০১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। সেই হিসেবে চলতি বছরে ১৬ দিনে হরতাল-অবরোধের কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জিডিপি’র ২.৭০ শতাংশ।
 
ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ এবং রেমিটেন্স প্রবাহের ধারা সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। যা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হতে এবং ৮ শতাংশ জিডিপি অর্জন করতে হলে আমাদের জিডিপির ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ দরকার। বর্তমানে এর পরিমাণ ২৬ শতাংশ। ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এ বিনিয়োগ প্রবাহ বজায় রাখার জন্য ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মায়ানমার নিয়ে গঠিত বিসিআইএম আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরামে ভৌগলিকভাবে মধ্যস্থানে অবস্থান করায় বাংলাদেশ স্ট্র্যাটেজিক্যালি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক বিসিআইএম অঞ্চলে বাস করায় বাংলাদেশের অর্থনীতি বিসিআইএমভুক্ত ২৭০ কোটি জনবহুল বাজারে প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুবিধাজনক অবস্থাকে কীভাবে কাজে লাগিয়ে আমাদের ব্যবসা ও বাণিজ্যকে আরো সমৃদ্ধ করা যায় সে ব্যাপারে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
 
বাংলাদেশ সময় : ১২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫/আপডেটেড : ১৫৪৫ ঘণ্টা

** সংকট নিরসনে ‘সিটিজেন কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।