ঢাকা: হাজারীবাগে একটি ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানকেও রাখা হবে না বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে বিনিয়োগ বোর্ডের আয়োজনে ‘চামড়া শিল্পের উন্নয়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সবগুলো কোম্পানিকে সরে আসতে হবে। পরিবেশ বাঁচাতে হাজারীবাগ ছাড়তে হবে সবাইকে।
শিগগিরই ট্যানারি স্থানান্তর করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন আমু।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের চামড়া শিল্প। এটি পোশাকশিল্পের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া গেলে চামড়া শিল্প হবে দেশের জন্য দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যম।
এজন্য এ শিল্পকে পরিবেশবান্ধব শিল্প হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানান আমু।
তিনি বলেন, ঢাকার পরিবেশের সৌন্দর্য বাড়ানো, বুড়িগঙ্গা রক্ষা করাসহ চামড়া শিল্পের উন্নয়নের জন্য এ শিল্পকে স্থানান্তর জরুরি।
সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই সবগুলো কোম্পানি তাদের কারখানা সরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া একশ’ ৫৫টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে একশ’ ৪৯টি প্রতিষ্ঠান বিসিকের কাছে লেআউট পরিকল্পনা দাখিল করেছে। বিসিক এরইমধ্যে একশ’ ৪৭টি লেআউট পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। অনেক উদ্যোক্তা নির্মাণ কাজও শুরু করেছেন।
সাভারে ১শ’ ৯৯ দশমিক ৪০ একর জমির ওপর স্থাপিত পরিবেশবান্ধব চামড়া শিল্পনগরীতে এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্লান্ট (সিইটিপি) এবং ডাম্পিং ইয়ার্ড ছাড়া প্রায় সব অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
বিনিয়োগ বোর্ডের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. এস এ সামাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম,
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫