ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্র্যাক ব্যাংকে এক চিঠিতে পদস্থ তিন ছাঁটাই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
ব্র্যাক ব্যাংকে এক চিঠিতে পদস্থ তিন ছাঁটাই

ঢাকা: ব্র্যাকে ছাঁটাইয়ের নতুন ধাক্কা এসে লাগলো ব্র্যাক ব্যাংকে। এক চিঠিতেই তিন কর্মকর্তার ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।

 

এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও মধ্যম পর্যায়ের এক ডজনেরও বেশি পদে ছাঁটাই হয়েছে। কারো কারো ছাঁটাই কার্যকর হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারিতেই। কেউ কেউ এক কিংবা দুই সপ্তাহ সময় পেয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক ছাড়ার।

৩০ জানুয়ারি ছুটির দিনে এক ই-মেইলে তিন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির কথা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এর মাধ্যমে চাকরি হারালেন ব্র্যাক ব্যাংকের কমিউনিকেশন, ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কম্প্লায়ান্স ও ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং প্রধানরা।

ব্র্যাকের একাধিক কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাধারণত কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলে তিনি নিজেই একটি ই-মেইলে যোগাযোগ করে সে তথ্য ‍জানান। কিন্তু বিষয়টি ই-মেইলে সংশ্লিষ্টদের জানান স্বয়ং ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এটি অস্বাভাবিক ও অগ্রহণযোগ্য বলেও মত দেন কয়েকজন ব্যাংক কর্মী।  

সূত্র জানায়, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে বর্তমান কমিউনিকেশন প্রধান জিশান কিংশুক হকের শেষ কর্মদিবস। আর ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই সরে যাচ্ছেন ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কম্প্লায়ান্স বিভাগের প্রধান সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম ও ব্যাংকটির হেড অব ব্রাঞ্চ ব্যাংকিং।
 
কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন জারা যাবিন মাহবুব। এই নিয়োগের মধ্য দিয়ে দেশের অনত্যম বেসরকারি ব্যাংকটির গুরুত্বপূর্ণ এই পদটিতেও পারিবারিকীকরণের প্রক্রিয়া আর এক ধাপ এগিয়ে নিলো ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ।

জারা যাবিন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদের নাতনী। তার সঙ্গে কাজ করার ও সহযোগিতা করার জন্য এরই মধ্যে ব্যাংকের সকল পর্যায়ের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

জারা যাবিন মাহবুব এর ‍আগে ব্যাংকটির হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্র্যাকের পরিবারতন্ত্র যে তৃতীয় প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত তা নিশ্চিত হয় জারা যাবিনকে ব্র্যাক ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর মধ্য দিয়ে।

২০০৯ সালে তিনি সরাসরি হেড অব সার্ভিস কোয়ালিটি হিসেবে ব্যাংকে যোগ দেন। এরপর গত পাঁচ বছরে তাকে হেড অব প্রিমিয়াম ব্যাংকিং, রিটেইল মার্কেটিং অ্যান্ড কলসেন্টার ও হেড অব কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে তাকে করা হলো ব্যাংকটির কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান।

আর এর মধ্য দিয়ে ব্যাংকটির মূল ব্যবস্থাপনা কমিটিতেও স্থান হলো যারা জাবিন মাহবুবের।

ব্র্যাক সূত্র জানিয়েছে এরই মধ্যে জারা যাবিন কিংশুকের কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।

এছাড়া, ব্যাংকটির ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কম্প্লায়ান্স বিভাগের প্রধান সৈয়দ ফরিদুল ইসলামকেও অপসারণ করা হয়েছে। রোববার ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই দায়িত্বে বসতে যাচ্ছেন আরিফুল ইসলাম চৌধুরী। এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পেয়েই এই পদে বসছেন আরিফ।

বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।