ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন ভাবে বাজারে ব্ল্যাক হর্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৫
নতুন ভাবে বাজারে ব্ল্যাক হর্স ছবি: নাজমুল হাসান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গ্লোব সফট ড্রিংকস লিমিটেড ও এএসটি বেভারেজ নতুন রূপে বাজারে নিয়ে এসেছে ‘ব্ল্যাক হর্স’ কার্বোনেটেড বেভারেজ। নতুন স্বাদ ও মোড়কের ব্ল্যাক হর্স ২৫০ এমএল ক্যান ও ২৫০ এমএল পিইটি বোতলে এখন থেকে বাজারে পাওয়া যাবে।


 
রোববার (২২ মার্চ’২০১৫) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির এ পানীয় বাজারজাত করণের উদ্বোধন করা হয়।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হোসেন, গ্রুপ পরিচালক আবদুল্লা আল রশিদ, গ্রুপ পরিচারক সামির আল রশিদ এবং পরিচালক সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. খাইরুল আলম।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব সফট ড্রিংকস লিমিটেড ও এএসটি বেভারেজ বর্তমানে ইউরো কোলা, লাইচিনা, ইউরো লেমন, ইউরো অরেঞ্জ, ফিজ আপ, রয়েল টাইগার, ম্যাংগোলী ম্যাংগো ড্রিংক উৎপাদন ও বাজারজাত করছে। বিশ্বের ২৫টি দেশে এ কোমল পানীয়গুলো রফতানি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরও ৭ থেকে ৮টি দেশে রফতানির প্রক্রিয়া চলছে।
 
হারুনুর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের অনেকে মনে করেন এ ধরনের ড্রিংকসে কি না কি আছে। আজ পর্যন্ত বিএসটিআই এর সঠিক মান নির্ণয় করতে পারেনি। এটি সরকারের ব্যর্থতা। ২০০৯ সালে ব্ল্যাক হর্স যাত্রা শুরু করে। কিছু কারণে মাঝে এর উৎপাদন কম ছিলো। এটি একটি জনপ্রিয় পানীয়। কিন্তু মানুষের মাঝে নেতিবাচক প্রচারণা আছে এটিতে অ্যালকোহল আছে। তবে বাস্তবতা হলো এতে অতিরিক্ত অ্যালকোহল নেই।

যে জিনিস খাওয়ার মতো না সে জিনিস আমি বাজারজাত করবো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বশেষ বছরে আমরা সাড়ে ১২ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করেছি। এ বছর ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হবে বলে আমি আশা করছি। আগামী পাঁচ বছরে শুধু ব্ল্যাক হর্স দিয়েই ১০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার আর করা সম্ভব হবে।
 
একটি পণ্য যখন জনপ্রিয়তা পায় তখন নকলবাজরা এর পিছনে উঠে পড়ে লাগে। যদি কেউ এমনটি করে এর জন্য আইনশৃ্ঙ্খলা বাহিনীর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এর জন্য একটি পণ্যকে ধ্বংসের চেষ্টা করা উচিত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
 
পরিচালক সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মো. খাইরুল আলম বলেন, বর্তমানে টাইগার বিশ্বের ২৭টি দেশে রফতানি হচ্ছে। আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে আরও ১০টির মতো দেশে রফতানি করা হবে। শেষ বছরে আমাদের ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের উপরে আয় হয়েছে। যা দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।