ঢাকা: একসময় এসি ছিলো পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে উচ্চমান সম্পন্ন এসি।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি সঠিক বিটিইউ সম্পন্ন হওয়ায় এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে দেশের বাজারে এখন চাহিদার শীর্ষে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি। বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো শর্ত সাপেক্ষে ওয়ালটন দিচ্ছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি।
শিগগিরই ওয়ালটন এসিতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির গোল্ডেন ফিন যুক্ত হচ্ছে। পরিবেশবান্ধব এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে এসি হবে টেকসই। এতে ময়লা জমবে না এবং বাতাস হবে তুলনামূলক বেশি ঠাণ্ডা। এছাড়া ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি এবং ৩ বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি।
ওয়ালটন এসির রয়েছে আরো কিছু বিশেষত্ত্ব। ট্রিপল এ টেকনোলজিতে তৈরি ওয়ালটন এসি তুলনামূলক বিদ্যুত সাশ্রয়ী, এতে রয়েছে শতভাগ কপার টিউব, ডুয়াল মোড হিটিং ও কুলিং অপশন, ডিজিটাল ডিসপ্লে এবং ডিহিউমিডিকেশন মোড।
জানা গেছে, বিশ্বমানের প্রযুক্তি, সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) থাকায় ওয়ালটন এসিতে তুলনামূলক কম সময়ে বাতাস ঠাণ্ডা হয়। উচ্চ প্রযুক্তির সমন্বয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে ওয়ালটন এসি।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ড্রাস্টি্েরজ বর্তমানে সর্বনিম্ন পৌনে এক টন থেকে সর্বোচ্চ দুই টনের বিভিন্ন মডেল ও ডিজাইনের এসি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত এসির কনডেন্সারের পাখায় অ্যান্টি করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে ওয়ালটন। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী কিস্তিতেও বিক্রি হচ্ছে।
ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম জানান, ওয়ালটন এসি দামে প্রায় ৬০ শতাংশ সাশ্রয়ী। দেশেই বিশ্বমানের এসি তৈরি হওয়ায় আমদানি কমে গেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ওয়ালটনের এসি রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। যদিও দেশের বাজারকেই প্রাধান্য দিচ্ছে ওয়ালটন। এ সেক্টরে আরো বেশি বিনিয়োগের চিন্তাভাবনা করছে ওয়ালটন।
বাজারে ৩২ হাজার টাকা থেকে ৫৫ হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে ওয়ালটনের এসি বিক্রি হচ্ছে। ওয়ালটনের এসি গ্রাহকদের দোড়গড়ায় পৌঁছে দিতে ওয়ালটন প্লাজা থেকে কিস্তিতে এসি সরবরাহ করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সহজ বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে সার্ভিস সেন্টারের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৫