ঢাকা: কোনো স্টলে রয়েছে নানা রকমের সুস্বাদু থাই ফুড, কোনো স্টল আবার সাজানো ফলমূলে। আবার কোনোটিতে মনকাড়া পারফিউমের প্রদর্শনী।
এমনই আয়োজন নিয়ে রাজধানীতে বুধবার (২৫ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে চারদিনব্যাপী থাই পণ্যের প্রদর্শনী ‘থাইল্যান্ড উইক ২০১৫’।
সাত ক্যাটাগরিতে থাইল্যান্ডে উৎপাদিত বিভিন্ন ধরনের ৪৭টি পণ্য স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।
রাজধানীর বসুন্ধরায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে আয়োজিত এই মেলায় থাইল্যান্ডে তৈরি বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিতি হওয়ার পাশাপাশি কেনার সুযোগ পাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
থাইল্যান্ড বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র প্রমোশন অফিসার কাজী শাফিক বিন আশরাফ বাংলানিউজকে বলেন, থাইল্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে যদি কেউ ব্যবসা করতে চান সেই সুযোগও মিলবে এখানে। রেজিস্ট্রেশন করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও আছে আগ্রহীদের।
প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীরা থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করার সুযোগ পাবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া রয়েছে থাই ফুড রান্নার পদ্ধতি শেখার ব্যবস্থা।
থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ফল আমদানি করে বাংলাদেশে বিক্রি করছেন রাত্রি ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী রওশন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ প্রদর্শনীতে আমরা অনেক তথ্য সরবরাহ করতে পারছি। দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের মাঝে তুলে ধরছি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন সুস্বাদু ফলের বিবরণ।
আয়োজকরা জানান, সাত ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্য রয়েছে অটো পার্টস অ্যান্ড এক্সেসরিজ, কনস্ট্রাকশন মেটারিয়াল অ্যান্ড মেশিনারি ইকুইপমেন্ট, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল অ্যান্ড ফ্যাশন এক্সেসরিজ, হেলথ অ্যান্ড বিউটি, হাউসহোল্ড অ্যান্ড নিটওয়্যার পণ্য এবং স্টেশনারি পণ্য। প্রদর্শনীতে মোট ৫০টি স্টল রয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। খুচরা, পাইকারি, ডিলারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এ প্রদর্শনী থেকে থাইল্যান্ডের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিতে পারবেন। চলতি মাসের ২৮ মার্চ শেষ হবে এ প্রদর্শনী।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চারদিনব্যাপী এই ‘থাইল্যান্ড উইক ২০১৫’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
বাংলাদেশস্থ রাজকীয় থাই দূতাবাসের সহযোগিতায় থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ডিপার্টমেন্ট এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫
** শুধু আমদানি নয়, রপ্তানিও বাড়াতে হবে