ঢাকা: বাংলাদেশে দিন দিন থাই ফুডের চাহিদা বেড়েই চলছে। এক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা সেসব খাবার সরবরাহে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।
রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী ‘থাইল্যান্ড উইক’এ বিষয়ে ফ্রি প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে চাইলেই রান্না করতে পারেন পছন্দের খাবার। ২৫ মার্চ বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘থাইল্যান্ড উইক-২০১৫’ চলবে শনিবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত।
আয়োজকরা জানান, প্রদর্শনীর প্রতিদিন বিকেল চারটায় থাই ফুড রান্না বিষয়ক কর্মশালা থাকছে। এতে অংশগ্রহণকারীরা থাই খাবার টেস্ট করারও সুযোগ পান। এজন্য কোনো প্রবেশ মূল্য বা টিকিট করতে হবে না দর্শনার্থীকে।
প্রশিক্ষণে থাই ফুড রান্নার পদ্ধতি শেখানো ছাড়াও এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয় বেলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
থাইল্যান্ড উইকে খাবারের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন দেশটির বিশিষ্ট রন্ধন বিশেষজ্ঞ সম্পপর্ন।
বৃহস্পতিবার তিনি চিকেন গ্রিন কারি, বিফ রেডকারি, পাতাই নুডলস, স্পাইসি বিফ সালাদের ওপর প্রশিক্ষণ দেন। এসময় বাংলাদেশের রন্ধন শিল্পী কল্পনা রহমান।
বাংলানিউজকে সম্পপর্ন জানান, ইন্টারনেট, টেলিভিশনে খাবারের রেসিপিসহ কিছু তথ্য উল্লেখ থাকে। থাই খাবার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেতে হলে অবশ্যই কোনো রন্ধন বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়া উচিৎ।
প্রশিক্ষণার্থী মিসেস মেহজাবিন বলেন, খাবারের প্রশিক্ষণ তো একদিনে সব কিছু জানা যায় না। এরপরও অনেক কিছু শিখেছি। যা বেশ কাজে দেবে।
থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরামর্শক বাংলানিউজকে বলেন, এখানে অনেক থাই ফুড রয়েছে। যেগুলো বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়।
‘তবে এগুলো রান্না করা কঠিন। আবার নিয়ম বা পদ্ধতি জানা থাকলে খুবই সহজ,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে থাই খাবারের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা থাকায় এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা।
প্রদর্শনীতে থাইল্যান্ডের সাত ক্যাটাগরির প্রায় ৫০টি পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে এখানে।
ঢাকাস্থ দ্য রয়েল থাই অ্যাম্বাসি ও থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আর্ন্তজাতিক ব্যবসায় উন্নয়ন বিভাগ এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫