ঢাকা: পাট ও বাঁশের তৈরি আকর্ষণীয় সব ফার্নিচারের প্রদর্শনী দর্শনার্থীদের মন কেড়েছে। প্রদর্শনী প্রাঙ্গণজুড়ে দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকলেও, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা পাট ও বাঁশের ফার্নিচার দেখতে ঠিকই ভিড় করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ ফার্নিচারে অ্যান্ড ইনটেরিয়র ডেকোর এক্সপো-২০১৫’তে ঘুরে এমনই চিত্র মিললো।
রূপান্তর ইনোভিশন স্টুডিওর স্বত্বাধিকারী ফাইকুজ্জামান বাদশা বাঁশের ফার্ণিচার তৈরি করে সবার নজর কেড়েছেন।
তিনি জানান, পাট ও বাঁশ দিয়ে অনেক ভালো মানের ফার্নিচার তৈরি হয়, এ কথা শুনে প্রথম দিকে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কিন্তু এখন অনেকের কাছেই এটি প্রিয় হয়ে উঠেছে।
প্রদর্শনী প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পাট ও বাঁশের তৈরি করা ফার্নিচারের মধ্যে চেয়ার-টেবিল, সোফাসেট, ডাইনিং টেবিল, খাট, অফিস টেবিল, স্কয়ার চায়েরবাটি, রাউন্ড ফ্রুট কাপ, ডিম ঝুড়ি, রাউন্ড টুপি, রাউন্ড ডোল, রাউন্ড মটকা অন্যতম।
দোকানিরা জানান, এসব পণ্য আমাদের দেশে খুব বেশি ব্যবহার হয় না। তবে বিদেশে বেশ কদর রয়েছে। এজন্য তারা রফতানিকে সামনে রেখে এসব পণ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছেন।
বাঁশের তৈরি চেয়ার কিনে বাড়ি ফিরছিলেন মোহাম্মদপুর এলাকার রিয়াজ উদ্দিন।
তিনি জানান, আমাদের দেশের কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা পণ্য অবশ্যই ভালো হবে। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এখন ফার্নিচার অনেক দূর এগিয়েছে। কিন্তু হাতের কাজ কমেছে। তবে আজ এ প্রদর্শনীতে এসে মনে হলো, হাতের কাজ এখনও ঠিকই টিকে রয়েছে।
বেঙ্গল বারিটেড রাগস লিমিটেডের সব ধরনের ফার্নিচার দেশের চেয়ে বিদেশেই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার ইলিয়াস।
তিনি জানান, পাট দিয়ে সব ধরনের পণ্যই তৈরি সম্ভব। তবে দেশে কদর কিছুটা কম।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) ফার্নিচার ও হোম ফার্নিশিং খাতের রফতানি উন্নয়নের লক্ষ্যে যমুনা ফিউচার পার্কের নর্থ কোর্টে প্রদর্শনী শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হয়।
প্রদর্শনীর আয়োজনে ছিল রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), বাংলাদেশ ফার্নিচার রফতানিকারক সমিতি, বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, বাংলাদেশ হস্তশিল্প রফতানিকারক সমিতি (বাংলাক্রাফট) ও বাংলাদেশ জুট ডাইভার্সিফাইড প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৫