ঢাকা: পেঁয়াজ আমদানিতে দেওয়া ব্যাংক ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ঋণপত্রের মার্জিন অনুপাত ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে অতিরিক্ত মূল্যের কারণে পেঁয়াজের দামে অস্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ কারণে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেঁয়াজ আমদানি অর্থায়নে সুদ হার সর্বোচ্চ সীমা ১১ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গতবছর পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১২ শতাংশ নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, পেঁয়াজ আমদানিকারকদের সুবিধার্থে ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং এলসি (ঋণপত্র) মার্জিন কমানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এক চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আসন্ন ঈদ-উল-আজহায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গিয়ে দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ পরিস্থিতি এড়াতে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্ধারণসহ এলসির মার্জিন সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুরোধ জানানো হলো।
গত ঈদুল ফিতরের আগে প্রতি কেজি পেয়াজ সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও ঈদের পর অস্থির হয়ে ওঠে পেঁয়াজের বাজার। এখন প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৫
এসই/এএ