টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বিভিন্ন হাট বাজার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ২ টাকা ও ৫ টাকার নোট নিচ্ছে না স্থানীয় ব্যাংকগুলো।
এতে বেকায়দায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের দাবি ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের এ জমে থাকা টাকাগুলো নিলে তারা অনেকটাই লাভবান হতেন। মাঝে-মধ্যে ব্যাংক ৫ টাকার নোটগুলো ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নিলেও ২ টাকার নোট একেবারেই নিচ্ছে না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পড়ে থাকা এ টাকা যদি ব্যাংক নেয় তাহলে প্রতিলাখে ৫-১০ হাজার টাকা ব্যাংককে দিয়ে দিতেও রাজি তারা।
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আইসক্রিম বিক্রেতা, ফেরিওয়ালা, বেকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েন বা ২ টাকার নোট না নিলে তারা মালামাল ক্রয় করেন না। তাই ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই ২ টাকা বা ৫ টাকার মাধ্যমে বেচাকেনা করে থাকেন। কিন্তু যে সব ব্যবসায়ীয়দের কাছে ২ টাকার নোট জমা হয় সেই টাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আর কেউ নিতে চায় না। ব্যাংকও জমা নিচ্ছে না।
এমনকি চালের দোকানে, খুচরা দোকানে, রিকশা ভাড়া ও টেম্পু ভাড়া এমনকি ফকিরকে ভিক্ষা দিলেও ৫ টাকার নিচে নিতে চায় না। এমতাবস্থায় অনেক ব্যবসায়ীর কাছেই ৩ থেকে ৭ লাখ টাকার ২ টাকার নোট জমা হয়ে আছে। ব্যাংকে এ টাকা না নেওয়ায় চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, শহরের বিভিন্ন মসজিদের দান বাক্সে কয়েন ও ২ টাকার নোট না দেওয়ার জন্য নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
পাঁচ আনি ও ছয়আনী বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইল জেলা শহরের বিভিন্ন হাট বাজারে হাজার হাজার ব্যবসায়ীর কাছে এই কয়েন ছাড়াও ২ থেকে ৫ টাকার নোট জমা পড়ে আছে। তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারছেন না। ব্যাংক এগুলো না নেওয়ায় লাখ লাখ কাগজের ২ টাকার নোট জমা পড়ে রয়েছে। টাকাগুলো ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করে ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে আহ্বান জানান তিনি।
টাঙ্গাইল ছয় আনী বাজারের গোবিন্দ চন্দ্র ভৌমিকের কাছেও কয়েন ১০ লাখ টাকা ছাড়াও ২ টাকার কাগজের নোট জমা হয়েছে সাড়ে ৫ লাখ টাকা। তিনি এ টাকা নিয়ে চরম লোকসানে রয়েছেন। আর এ কারণে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মচারীর বেতনও ঠিকমত দিতে পারছে না বলে জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংকে কাগজের ২ বা ৫ টাকার নোট নিয়ে গেলে শুধু ৫ টাকার নোট জমা নেয়। কিন্তু কয়েনের মতো ২ টাকার নোট একেবারেই নেওয়া হয় না। ফলে টাকাগুলো জমা হতে হতে সাড়ে ৫ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আবার ঘরে রাখতে রাখতে টাকাগুলো ইঁদুরে খেয়ে নষ্ট করে ফেলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংকের কয়েকজন কর্মচারীরা বাংলানিউজকে জানান, ঝামেলা এড়াতে ২ টাকার নোটগুলো গ্রহণ করা হয় না। আর এগুলো নিলে পরবর্তীতে গ্রাহককে দিলে তারাও নিতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার জীবন কৃষ্ণ ভৌমিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৫
এসএইচ/এসআর
** টাঙ্গাইলে কোটি টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা