ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারসহ ৭ প্রকল্পের অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫
সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারসহ ৭ প্রকল্পের অনুমোদন

ঢাকা: সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পসহ (ফেজ-৩) মোট ৭টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় ‍অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।



সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভায় অনুমোদিত ৭টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২শ’ ১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ১শ’ ১৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১০৪ কোটি টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৯৯৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্পের (ফেজ-৩) মোট ব্যয় ৪ হাজার ৫শ’ ৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৪শ’ ৫০ কোটি লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন সারফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণের মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের নির্ভরতা কমানো।

প্রকল্পের মাধ্যমে স্লাজ(sludge) ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণের পাশাপাশি ৫৪ কিলোমিটার পানি বিতরণ লাইন স্থাপন করা হবে। ৩৩ কেভি ইলেকট্রিক লাইন ও ৫২ দশমিক ৮ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ করা হবে।

একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, সভায় নগরবাসীর পানির চাহিদা পূরণ করার জন্য ৪ হাজার ৫শ’ ৯৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার’ নামে একটি বড় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে বর্তমানে মোট জনসংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। তাদের প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২ হাজার ২শ’ মিলিয়ন লিটার পার ডে (এমএলডি)। কিন্ত এ চাহিদার মধ্যে ২ হাজার এমএলডি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রতিনিয়ত এ চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে ২০৩৫ সালে প্রতিদিনের পানির চাহিদা হবে ৫ হাজার ২শ’ ৬৮ এমএলডি। এসব দিক বিবেচনা করে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

পরিকল্পমন্ত্রী বলেন, পানি উত্তোলনের জন্য ওয়াসা মূলত ভূ-গর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর পানির স্তর ২-৩ মিটার নিচে নেমে যাচ্ছে। যা শুধু পরিবেশেরই জন্য হুমকি নয়, খাবার পানির জন্যও হুমকিস্বরুপ। এ কারণে সরকারের পরিকল্পনায় আছে, আমরা ২০৩৫ সালের মধ্যে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করবো ৩০ শতাংশ ও  ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহার করবো ৭০ শতাংশ। বৃষ্টি ও অন্যান্য পানি এ শোধনাগারে নিয়ে খাওয়ার উপযোগী করবো।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিসিক শিল্প পার্ক প্রকল্প’। প্রকল্পটি ১শ’ ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইলে বাস্তবায়ন করা হবে।
৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের সমন্বিত গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ’ প্রকল্পও সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়া ‘বগুড়া জেলার সরিয়াকান্দি উপজেলাধীন কুর্নিবাড়ী হতে চন্দনবাইশা পর্যন্ত যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ কাজসহ বিকল্প বাঁধ নির্মাণ’  প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে সাড়ে ৩শ’ কোটি টাকা।

১ হাজার ৮শ’ ৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মানুষ ভূ-উপরিস্থ পানি পান করতে পারবেন।

‘মেঘনা সেতুর স্কাউয়ার প্রটেকশন এবং মেঘনা সেতু ও গোমতী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ’  প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাগুলো এ্যাসফল্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি টাকা।

একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা কমিশনের সচিব সফিকুল আজম, আইএমইডি’র সচিব শহিদ উল্লা খন্দকার, বিবিএস’র সচিব কানিজ ফাতেমা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, আরাস্তু খান, হুমায়ুন খালিদ ও গোলাম ফারুক প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫
এমআইএস/এএসআর/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।