ঢাকা: অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলা হলো, আপনি ২০১০ সালে সিটি ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা লোন নিয়েছেন। এখনো টাকা দিচ্ছেন না কেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত ও পালি বিভাগের মার্স্টাসের শির্ক্ষাথী কামরুজ্জামান সাদী, কে কাকে ফোন করেছেন জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুয়েল অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। টাকা না দিলে গ্রেফতারের হুমকিও দেন।
এ বিষয়ে (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ ও শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন কামরুজ্জামান সাদী।
সাধারণ ডায়রি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অভিযোগে বলা হয়েছে, কে বা কারা সিটি ব্যাংক থেকে ২০১০ সালে দুই লাখ টাকার একটি পার্সোনাল ঋণ নিয়েছে। প্রকৃত ঋণ গ্রহিতার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে না পেরে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা জুয়েল। কিন্তু আমি তাকে দেখা করতে বললে প্রথমে তিনি আমাকে এক যুবলীগ নেতার চেম্বারে যেতে বলেন। পরে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রকৃত গ্রহিতার কাছ থেকে খেলাপি ঋণ আদায় করতে তৃতীয় পক্ষের বেআইনি ব্যবহার করছে বেসরকারিখাতের দি সিটি ব্যাংক লিমিটেড। টাকা পরিশোধ করতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে ফোন করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযোগে তিনি বলেন, তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধানকে অপব্যবহার ও ভাড়াটে লোক দিয়ে জনসাধারণকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করছে সিটি ব্যাংক। সাধারণ মানুষকে এ ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দি সিটি ব্যাংকের জনসংযোগ প্রধান মাসরুর আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, আমি অফিসের কাজে দেশের বাইরে আছি। দেশে এসে এ বিষয়ে কথা বলতে পারবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মু. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় পক্ষ নিয়োগ দিয়ে টাকা আদায় করতে কিছুদিন আগে আমরা প্রজ্ঞাপন জারি করেছি। তবে কেউ এর অপব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫
জেডএম/