ঢাকা: ফৌজদারি অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় বেসরকারি খাতের ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক হতে পারলেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক মির্জা আব্বাস।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ব্যাংকের করা পুনর্নিয়োগের নিয়োগের আবেদনটি বাংলাদেশ ব্যাংক নাকচ করে দেয়।
রাজনৈতিক মামলায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে থাকায় মির্জা আব্বাস পরিচালনা পর্ষদের ১২টি সভার (২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত) মধ্যে ১১টিতে উপস্থিত হতে পারেননি।
এর আগে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ ৩ বছরের জন্য পরিচালক পদে নিয়োগ পান মির্জা আব্বাস। চলতি বছরের ২৯ মার্চ মির্জা আব্বাসের পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হয়। পরিচালক পদে ফের নিয়োগের জন্য চলতি বছরের ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছিল ঢাকা ব্যাংক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জনগণের আমানতের (অর্থ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফৌজদারি মামলার আসামি মির্জা আব্বাসের পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পরিচালনা পর্ষদের সভায় উপস্থিত না হওয়া পরিচালকের পুনর্নিয়োগের আবেদন করার কারণ জানতে চেয়ে ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চলতি বছরের ১৪ জুলাই একটি চিঠিও দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০১৩ এর ১৫ ধারার ৬(ই) উপ-ধারায় বলা হয়েছে, কোনো পরিচালকের বিরুদ্ধে দেওয়ানি বা ফৌজদারি মামলায় আদালতের রায়ে যদি কোনো বিরূপ পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য থাকে তবে তিনি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।
এছাড়া একই উপ-ধারার (আ)-তে বলা হয়েছে, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত কিংবা জাল-জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ বা অন্যবিধ অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বা আছেন এমন ব্যক্তি পরিচালকের দায়িত্ব পালনে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়াজ হাবিবের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৫
এসই/এটি