ঢাকা: গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের শুরুতেই সার্বিক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১১.৯৬%।
এই সিদ্ধান্ত দেশের তৈরি পোশাক সহ সামগ্রিক রপ্তানি খাতের সক্ষমতা অর্জনকে আবারো প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের পোশাক শিল্পের জন্য এই মুহূর্তে গ্যাস-বিদ্যুতে প্রণোদনামূলক বিশেষ ছাড় দেয়া উচিত বলে মনে করছেন পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে গ্যাস বিদ্যুতের যে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা উদ্যোক্তাদের জন্য বহন করা কঠিন। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের একটি বিশেষ মূল্য নির্ধারণ করা উচিত যেন এ শিল্পে আর নতুন করে আমাদের জন্য হুমকি না আসে।
এছাড়া গত ২৯ আগস্ট গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির পরপরই পোশাক উৎপাদনের এক্সেসরিজ এর মূল্য ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নিটওয়্যার প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ এর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার সাথে সাথে পোশাক শিল্পের উৎপাদনের প্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। সুতার দাম বেড়েছে ৩ সেন্ট, এক্সেসরিজ এর দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ আর ডাইং বিল বেড়েছে ৭ শতাংশ। এর ফলে সামগ্রিকভাবে পোশাক শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে ২০ শতাংশ।
আমি অবাক হই ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই কিভাবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিলো। এর কোনো যৌক্তিকতা আমি পাই না। পোশাক শিল্পের বর্তমানে যে অবস্থা তাতে সরকার যদি উদ্যোক্তাদের তেমন কোনো বিশেষ সুবিধা না দেন তাহলে আমরা অকূল পাথারে পড়বো।
উল্লেখ্য গত ২৯ আগস্ট ভোক্তা পর্যায়ে গ্যাসের মূল্য ২৬.২৯ শতাংশ ও বিদ্যুতের মূল্য ২.৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৫
ইউএম/আরআই