ঢাকা: ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে কয়েন নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে গ্রাহকদের চাহিদার ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী কয়েন বিতরণ করার কথাও বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়ছেন বলে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ার প্রেক্ষিতে রোববার (১৫ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে দেশে কার্যরত তফসিলি ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই পরিপত্রে বলা হয়, নিয়মানুযায়ী ধাতব মুদ্রা গ্রহণ ও বিতরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন উৎস থেকে জানা যাচ্ছে, তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো জনসাধারণের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করছে না। আবার অনেকক্ষেত্রে তাদের মাঝে তা বিতরণও করছে না। এ কারণে জনসাধারণ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনও বিঘ্নিত হচ্ছে।
পরিপত্রে আরও বলা হয়, তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা এবং কাগুজে নোট গ্রহণ করবে। জনসাধারণের স্বাভাবিক লেনদেনের স্বার্থে প্রতিটি শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রার প্রতিটির ন্যূনতম ১০ হাজার পিস করে সংরক্ষণ করতে হবে। তবে, স্থানীয় কার্যালয় ও অন্যান্য বড় শাখাকে বর্ণিত সংখ্যার তিন গুণ অর্থাৎ প্রতিটি মূল্যমানের ৩০ হাজার পিস করে ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তাদের জন্য নির্ধারিত পরিমাণের অতিরিক্ত ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে পারবে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে নিশ্চিত হতে হবে যে, তাদের সকল শাখায় নির্ধারিত পরিমাণ ধাতব মুদ্রা সংরক্ষিত আছে। এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকে ধাতব মুদ্রা জমাদানের প্রয়োজন হলে ব্যাংকের শাখাগুলো শক্ত মোটা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করবে। প্রতিটি ব্যাগে মূল্যমান নির্বিশেষে এক হাজার পিস করে ধাতব মুদ্রা রেখে ব্যাগের মুখ সিলগালা করে অথবা সিকিউরিটি ট্যাগ দিয়ে বন্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হবে। তবে একই ব্যাগে একাধিক মূল্যমানের মুদ্রা রাখা যাবে না। ব্যাংকের নিজস্ব ফ্লাই লিফ পূরণ করে তা আঠা দিয়ে ব্যাগের গায়ে লাগিয়ে দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এসই/এইচএ/