ঢাকা: রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন নির্বাহী পরিচালককে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন, সোনালী ব্যাংকে মোহাম্মদ নওশাদ আলী চৌধুরী, অগ্রণী ব্যাংকে আহমেদ জামাল, জনতা ব্যাংকে নির্মল চন্দ্র ভক্ত ও রূপালী ব্যাংকে মো. আব্দুর রহিম।
এই চারটি ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকে উন্নতি না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক চারটি চিঠি ব্যাংক-কোম্পানি আইনের ৪৯ ধারা অনুসারে ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
বুধবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, পর্যবেক্ষকরা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, ক্রেডিট ও অডিট কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া যেকোনো বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার তিন কর্মদিবস আগে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যবেক্ষকের কাছে পাঠাতে হবে। ব্যাংকের আর্থিক সূচক উন্নত না হওয়া পর্যন্ত পর্যবেক্ষক সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. কে. সুর চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর আর্থিক সূচকের ক্রমাগত অবনতির হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। নানা রকম সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও খেলাপী ঋণ কমিয়ে আনতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এমনকি সুশাসন নিশ্চিত করতেও ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক মোতাবেক কাজ করবেন পর্যবেক্ষকরা। পরিচালনা পর্ষদ, অডিট কমিটি, ক্রেডিট কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। মেমোতে মতামত দিবেন। আইন বিরোধী বা আপত্তিকর কোনো কিছু ঘটলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে রিপোর্ট করবেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর আর্থিক অগ্রগতি হচ্ছে না। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে এসব ব্যাংকে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ২১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময়ে মূলধন ঘাটতিও বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫/আপডেটেড: ২১৩৩ ঘণ্টা
এসই/এসআর