ঢাকা: রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি পূরণে জনগণের কাছ থেকে আদায় করা অনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ড. খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের ‘ব্যাংক কাস্টমার্স রিস্ক ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক মূল বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোতে পরিচালক ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে মূলধন ঘাটতি হচ্ছে। মালিক হিসেবে সরকার কর্তৃক মূলধনের যোগান দেওয়াটা আইনি সম্মত হলেও অনৈতিক।
এছাড়া মাত্র ১০-১২ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে পরিচালকদের একক কর্তৃত্বের সমালোচনা করেন তিনি।
মিরপুরে বিআইবিএম কার্যালয়ে আয়োজিত সম্মেলনে চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যেক সেশনে একজন চেয়ারম্যন ও চারজন প্যানেলিস্ট আলোচনা করেন।
এ সম্মেলনে নেপাল, মালেশিয়া ও ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তাদের ২৬টি গবেষণামূলক প্রবন্ধ উত্থাপন করেন।
ড. ইব্রাহীম খালেদ বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোর মোট মূলধনের ১০ থেকে ১২ শতাংশ শেয়ারের মালিক পরিচালকরা। বাকি ৮৮ থেকে ৯০ শতাংশ সম্পদের মালিক আমানতকারীরা। কিন্তু দেখা যায় পরিচালক বা মালিকরাই ব্যাংকের কর্তৃত্ব করছেন।
তাদের ইচ্ছানুযায়ী ব্যাংক চলছে।
‘এটি কতটুকু নৈতিক তা ভেবে দেখা দরকার। মাত্র কিছু সম্পদের মালিকদের দৌরাত্ম্যে যেন বৃহৎ সম্পদ ঝুঁকিতে না পড়ে সে বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ’
রাষ্ট্রীয় ব্যাংক প্রসঙ্গে সাবেক এই ব্যাংকার বলেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ও বেসিক ব্যাংক দুর্নীতির কারণে মারাত্মক বিপর্যয়ে পড়ে। ব্যাংক দু’টিকে বাঁচাতে সরকার বাজেটে বরাদ্দ দিয়েছে। কতিপয় ব্যক্তির দুর্নীতির খেসারত দেশের জনগণ দেবে এটা হতে পারে না। করের টাকায় মূলধন যোগান দেওয়া উচিত নয়।
সম্মেলনে বিআইবিএম-এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিং খাতে আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো গভর্ন্যান্স। গভর্ন্যান্স বলতে ইন্টারনাল ও এক্সটার্নাল উভয়ই বিষয়ই রয়েছে। এটা উন্নত না করা পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৫।
এসই/এমএ