ঢাকা: অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানিতে সংশ্লিষ্টদের প্রনোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত ডিও লেটারও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এক সভা শেষে এসব কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
আগামী ১৫-১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি-তে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১০ম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কনফারেন্সটির প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রণালয় উচ্চ পর্যায়ের এ সভা আয়োজন করে ও মন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অপ্রচলিত পণ্যের রপ্তানিতে প্রনোদনা দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে ডিও লেটার দিয়েছি। শিপ বিল্ডিং, ফার্মাসিউটিক্যালসও এর মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশের সাফল্য বর্ণনায় তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অনেক দেশ এখন হিংসা করছে, অন্য চোখে দেখছে। কারণ অনেকে ভেবেছিল, স্বাধীনতার পরে দেশটির অবস্থা ভালো থাকবে না। কিন্তু যে দেশের সঙ্গে আমরা ছিলাম, সে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক দিকেই আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। আমাদের গড় আয়ু বেশি, মা ও শিশু মৃত্যৃর হার কম।
‘আমাদের রপ্তানি ৩২ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন ডলার। আমাদের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের মাত্র ১৫ বিলিয়ন ডলার। এভাবে সব দিক থেকে আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে’- বলেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশে আমরা ওষুধ রপ্তানি করছি। চামড়া, তৈরি পোশাক, ফার্নিচার, আইটিতে ভালো অবস্থান নিয়েছি।
‘২০০৯ সালে আমাদের রপ্তানি ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলার, এখন ৩৫ বিলিয়ন ডলার। প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ, আমেরিকাতে ১৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, তা জিএসপি সুবিধা ছাড়াই’- বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
কেনিয়ার আগামী সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেখানে অংশ নেবে ও নেতৃত্ব দেবে। ওষুধ, সেবা, পণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে আমরা অবস্থান ভালো করবো আরও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এসকেএস/বিএস