ঢাকা: ইন্টারনেটের গতি শ্লথ থাকার কারণে আর্থিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরের পর থেকেই শ্লথ হয়ে পড়ে ইন্টারনেটের গতি।
এ সময় এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে অসুবিধার মুখে পড়ার কথা জানান অনেক গ্রাহক। এছাড়া অনলাইন ব্যাংকিং, ক্যাশ ট্রান্সফার, চেক ভাঙ্গানো ইত্যাদি কার্যক্রমে কিছুটা ভোগান্তির মুখে পড়েন ব্যাংক কর্মকর্তা ও গ্রাহকরা।
লেনদেনে এই বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসেবে ইন্টারনেটের শ্লথ গতিকেই দায়ী করেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। এ সময় টাকা তুলতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অনেক গ্রাহক।
এদিকে ব্যাংকের পাশাপাশি ইন্টারনেটের গতিস্বল্পতার প্রভাব পড়ে শেয়ারবাজারের কার্যক্রমে। অনেক গ্রাহকই শেয়ার বেচাকেনার ক্ষেত্রে ভোগান্তির শিকার হওয়ার কথা জানান। এছাড়া অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোর সাইটে ঢুকতেও ভোগান্তির মুখে পড়েন পাঠকরা।
উল্লেখ্য, বুধবার আকস্মিকভাবে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ রাখার পর খুলে দেয়া হয় ইন্টারনেট। এছাড়া বন্ধ করে দেয়া হয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত চালু হচ্ছে না সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই অ্যাপসগুলো। এছাড়া কঠোর নজরদারিতে থাকছে ট্যাংগো, ইমু, লাইন, হ্যাংআউট ও টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, সন্ত্রাসী ও জঙ্গি তৎপরতা রোধ করতেই এটি বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
দেশ ও জাতির নিরাপত্তার স্বার্থেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, মেসেঞ্জোর, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
আরআই