ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আয়কর মেলা

প্রথমদিনে রিটার্ন বুথে উপচে পড়া ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
প্রথমদিনে রিটার্ন বুথে উপচে পড়া ভিড় ছবি: শাকিল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রথমবারের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত শীতকালীন আয়কর মেলার প্রথমদিনে ব্যাপক সাড়া মিলছে করদাতাদের।
 
মেলায় চলতি বছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল এবং ই-টিআইএন নিবন্ধন ও পুনঃনিবন্ধন করছেন করদাতারা।

তবে রিটার্ন দাখিলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
 
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে তিন দিনব্যাপী (১৯-২১ নভেম্বর) শীতকালীন আয়কর মেলা-২০১৫ শুরু হয়। সকালে মেলার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী আয়কর মেলার বিভিন্ন বুথ ঘুরে দেখেন।
 
ঢাকার দু’টি স্থানে (অফিসার্স ক্লাব ও উত্তরা) এবং চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে একযোগে এ মেলা হচ্ছে।
 
মেলায় ঢাকার ১৪টি কর অঞ্চলের ২৮টি রিটার্ন দাখিল বুথ, ২টি ই-টিআইএন বুথ, একটি জরিপ ও একটি বৃহৎ এলটিইউ বুথসহ মোট ৩২টি বুথ রয়েছে।

হয়রানি ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পেরে খুশি কর অঞ্চল-১০ এর করদাতা ইব্রাহীম আহমেদ। তিনি বলেন, কর অঞ্চলে গেলে এই কর্মকর্তারাই কথা পর্যন্ত বলতে চান না। আর তারাই কিনা এখানে হাত থেকে রিটার্ন নিতে গিয়ে মিষ্টি হেসে কথা বলছেন।
 
সনজিৎ কুমার সর্দার নামে অপর এক করদাতা একই বুথে রিটার্ন জমা ও রসিদ (প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সার্কেল অফিসে রিটার্ন দাখিল করতে গেলে টেবিলের পর টেবিল ঘুরতে হয়। এখানে ওয়ানস্টপ সেবার মতো সব এক সঙ্গে পেয়ে ভালো লাগছে।
 
তবে করদাতা মনিরুল ইসলাম অভিযোগের সুরে বলেন, সকাল ১১টায় রিটার্ন জমা দিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টায়ও রসিদ (প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) পাইনি। এত ভিড় অথচ বুথ ও লোক সংখ্যা (এনবিআর কর্মকর্তা) অত্যন্ত কম। বুথ ও লোক সংখ্যা বাড়ালে রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গেই রসিদ পাওয়া যেত।
 
মহাখালী থেকে নতুন ই-টিআইএন করতে আসা ব্যবসায়ী শাহাবুল হোসেন বলেন, মেলায় এসে সেবার মানে সন্তুষ্ট হয়েই প্রথমবারের মতো ই-টিআইএন নিবন্ধন করলাম।
 
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, রিটার্ন দাখিল বুথে করদাতাদের উপচে পড়া ভিড়। তবে লোকবল কম থাকায় রিটার্ন জমা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
 
মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও এনবিআর সদস্য মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজস্ব সচেতনতা, আয়করে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও করদাতাদের আস্থা অর্জনের জন্য এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, এ মেলায় করদাতারা ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন। অনেকেই অফিসে গিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেননি। তাদের অনুরোধে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
 
করদাতাদের সাড়া দেখে খুশি আবদুর রাজ্জাক। বললেন, প্রথমদিন (বৃহস্পতিবার) হরতালের কারণে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়েছেন করদাতারা।
 
আগামী দু’দিন (শুক্র ও শনিবার) ছুটির দিন হওয়ায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবাই রিটার্ন দাখিল করবেন বলে আশা করেন তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
আরইউ/আরএম

** ‘আয়কর মেলা করদাতাদের উৎসব’
** কর দিতে ফিক্স ডে নির্ধারণে অর্থমন্ত্রীর পরামর্শ
** দেশে করদাতা হওয়া উচিত ১ কোটি ২০ লাখ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।