ঢাকা: শীতকালীন আয়কর মেলার শেষদিনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে সকাল থেকেই ভিড় করছেন করদাতারা।
শনিবার (২১ নভেম্বর) সকালে থেকেই অফিসার্স ক্লাব প্রাঙ্গণ মেলার গেটে এ ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
প্রথমবারের মতো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ঢাকার দুটি, ছয়টি বিভাগীয় শহরসহ আটটি স্থানে তিন দিনব্যাপী (১৯-২১ নভেম্বর) এ মেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, বুথে রিটার্ন জমা দিতে করদাতাদের দীর্ঘ লাইন। শেষদিন হওয়ায় রিটার্ন জমা নিতে হিমশিম খাচ্ছেন কর কর্মকর্তারা। বিকেল ৫টায় জমা নেওয়া শেষ হবে বিধায় তাড়াতাড়ি জমা দিতে করদাতারা তাড়াহুড়ো করছেন। মেলা প্রাঙ্গণে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই মেলার বাইরে বসে পূরণ করছেন রিটার্ন। রিটার্ন পূরণে তথ্য ও সেবা কেন্দ্রে কর্মকর্তারা সহযোগিতা করছেন। এছাড়া রোভার স্কাউট সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। দীর্ঘ লাইন রয়েছে ই-টিআইএন নিবন্ধন ও পুন:নিবন্ধন বুথে।
বার্জার পেইন্টের কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল। গতকাল দু’দফা চেষ্টা করেও রিটার্ন জমা দিতে পারেনি। শেষদিন সকালে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুরে জমা দিয়েছেন।
জাবেদ বাংলানিউজকে বলেন, অনেক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে আয়কর জমা দিতে পেরেছি।
কর অঞ্চল-৫ হারুন-অর-রশিদ নামে এক ব্যক্তি ৫টি রিটার্ন জমা দিলেন। নিজেই পাঁচটি রিটার্ন দাখিল করলেন। কিন্তু ব্যাংক বুথ না থাকায় একটু কষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, এখানে দু’দিন দাঁড়িয়ে থেকেও জমা দিতে রাজি। কিন্তু কর অঞ্চলে যাবো না। সেখানে হয়রানি আর হয়রানি। সারাবছর মেলার সেবা কর অঞ্চলে চালু করতে পারে।
মেলা প্রাঙ্গণে জায়গা না পেয়ে বাইরে রিটার্ন পূরণে ব্যস্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ফরহাদ কাদের। বাইরে বসে পূরণে কষ্ট হলেও মেলায় জমা দিতে চান তিনি।
অফির্সাস ক্লাবের মেলায় ১৪টি কর অঞ্চলের ২৮টি রিটার্ন বুথ, দুইটি ই-টিআইএন বুথ, একটি এলটিইউ, একটি জরিপ ও একটি তথ্য ও সেবা কেন্দ্রের বুথ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৫
আরইউ/বিএস