ঢাকা: আগে কাজ করতাম হাতে পায়ে সিমেন্ট লাগতো। সেই সিমেন্ট হাত পায়ের চামড়া খাইয়া ফেলতো।
এমনটাই বলছিলেন রাজমিস্ত্রি মো. ফালু। তিনি রাজমিস্ত্রিদের নিয়ে বসুন্ধরা সিমেন্ট আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি রেস্তারাঁয় সম্মেলনের আয়োজন করে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা সিমেন্ট।
রাজমিস্ত্রি ফালু বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্টের কারণে রাজমিস্ত্রিদের আর শরীরের ক্ষতি হয় না। কতো সিমেন্ট দিয়ে আমরা বাড়ি বানাইলাম। কিন্তু আগে আমাদের হাত পায়ের চামড়া নষ্ট হইয়া যাইতো। কিন্তু এখন বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে কাম করলে হাত পা পরিস্কার থাকে। ঘাঁ হয় না। হাত পা খায় (ক্ষয়) না।
ফালুর এ বক্তব্যকে সমস্বরে সম্মতি জানালেন সম্মেলনে আসা ৭৫ জনের মত রাজমিস্ত্রি। এ সময় অন্যরাও বসুন্ধরা সিমেন্ট ব্যবহারের উপযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
রাজমিস্ত্রিদের কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে নির্মাণ কাজ করতে হয়, মূলত এ নিয়েই ছিলো এ সম্মেলনের মূল আলোচনা। বসুন্ধরা সিমেন্ট ধারাবাহিকভাবে দেশব্যাপী এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করছে।
এতে বসুন্ধরা সিমেন্টের ইঞ্জিনিয়াররা রাজমিস্ত্রিদের ইট, খোয়া, বালুর সঙ্গে সিমেন্ট মেশানোর প্রক্রিয়া পদ্ধতি তুলে ধরেন। এছাড়া ভালো স্থাপনার জন্য কি ধরনের ইট, পাথর, বালু বা রড ব্যবহার করতে হবে তাও শেখানো হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বসুন্ধরা সিমেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. মাহমুদুল হাসান।
তিনি রাজমিস্ত্রিদের উদ্দেশ্যে বলেন, অনেক বাড়ির মালিক হয়তো অনেক সময় নির্মাণ কাজ নিয়ে যথাযথ তথ্য জানেন না। যার জন্য রাজমিস্ত্রিদের কাছেই যেতে হয়। তাই আপনাদেরই তাদের সহায়তা করে সঠিক ভূমিকা পালন করতে হবে।
নির্মাণ কাজের সময় যে কোনো সমস্যা হলে বসুন্ধরা সিমেন্টের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগযোগ করারও পরামর্শ দেন তিনি।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন- প্রতিষ্ঠানের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার পলাশ আক্তার।
এছাড়া সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি ম্যানেজার (ট্যাকনিক্যাল সাপোর্ট) ইঞ্জিনিয়ার মো. ইমাম আল কুদরত ই এলাহী, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাবাহ সাঈদ, এরিয়া সেলস ম্যানেজার দেবব্রত দাস, এক্সিকিউটিভ (টেকনিক্যাল সাপোর্ট) ইঞ্জিনিয়ার শরিফুল ইসলাম ও মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
ইইউডি/বিএস