ঢাকা: চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হল ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তা ৩৪ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিজিএমইএ এর অ্যাপারেল ক্লাবে ‘২৯ জন ছিটমহলবাসীকে প্রশিক্ষণ সনদ, প্রশিক্ষণ ভাতা ও চাকরির নিয়োগপত্র প্রদান এবং এস এ গেমসে বাংলাদেশি স্বর্ণজয়ীদের সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বিজিএমইএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, গত বছর বিএনপির জ্বালাও পোড়াও এর কারণে অর্থনীতিতে কিছুটা বিরূপ প্রভাব পড়েছিল। তবে এবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ স্থিতিশীল। তাই আমরা আশা করছি এবার পোশাক খাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রফতানি আয় হবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছর শেষে তৈরি পোশাক খাতের রফতানি আয় ৩৪ বিলিয়ন ডলার হবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তৈরি পোশাক খাত থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হবে বলে আশা করছি। এ লক্ষ্য পূরণে পোশাক খাতে আরও ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিক বাড়াতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমাদের সামান্য পরিমাণে জিএসপি সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু সে সুবিধা তারা বন্ধ করে দিয়েছে। তারপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত বছর সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় হয়েছে, এবার তা ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজিএমইএ’র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আনোয়ারুল করিম, এসইআইপি প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।
বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পে বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ দক্ষ শ্রমিকের অভাব রয়েছে। আর ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে আরও ৩০ লাখ দক্ষ শ্রমিক প্রয়োজন। তবে আমাদের বিপুল পরিমাণ মানবসম্পদ রয়েছে। এই মানবসম্পদকে শিল্পের প্রয়োজনে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নির্ধারণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণ পদক জয়ী মাহফুজা খাতুন শিলা ও মাবিয়া আক্তার সীমান্তকে সংবর্ধনা ও ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
টিএইচ/বিএস