ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিচার না হওয়ায় বেড়েছে ব্যাংক জালিয়াতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
বিচার না হওয়ায় বেড়েছে ব্যাংক জালিয়াতি

ঢাকা: ব্যাংকিংখাতে অনিয়ম দ‍ুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হওয়ায় বারবার জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজকে তিনি এ মন্তব্য করেন।



এর আগে এটিএম বুথে জালিয়াতির ঘটনায় বেসরকারি খাতের দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের তিন কর্মকর্তা গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয়ে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এতে ব্যাংকগুলোর অনেক গাফিলতিও আছে। ২০১৩ সালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তখন ব্যাংকগুলো ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও নজরদারি বাড়ালে ফের আর এটি ঘটতো না।
 
‘কারণ এ ধরনের ঘটনা সাধারণভাবেই ব্যাংকগুলোর ভেতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাইরের জালিয়াতি চক্র যোগসাজশ করে ঘটিয়ে থাকে। আর হলমার্ক, বিসমিল্লাহ ও বেসিক ব্যাংকের মতো লুটপাটের ঘটনা থেকে অন্য ব্যাংকের কর্মকর্তারা এ কাজ করতে উৎসাহ পায়। ’

একই মত দিয়েছেন সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মামুন রশিদ।   বাংলানিউজকে তিনি বলেন,  ব্যাংকিংখাতে আগে ঘটে যাওয়া অনিয়ম ও দ‍ুর্নীতিগুলোর বিচার না হওয়ায় এখনও জালিয়াতির ঘটনা ঘটে চলেছে।

‘অনিয়মে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তারা যতোই প্রভাবশালী হোন না কেন? তাদের কঠোর হস্তে দমন করা গেলেই সবধরনের জালিয়াতি প্রতিরোধ করা সম্ভব,’ বলেন অর্থনীতিক মামুন রশিদ।  

পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এ জন্য ব্যাংকগুলোকে সার্বিক প্রস্তুতি নিতে হবে। বিশাল এখাতের গ্রাহক সংখ্যাও অনেক। দিনদিন যেমন প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে। তেমনি বেড়েছে ঝুঁকিও।
 
সম্প্রতি এটিএম বুথে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা করে ইউনাইটেড কর্মাসিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) কর্তৃপক্ষ।

এ মামলায় তদন্ত ও নজরদারি চালিয়ে এক বিদেশি নাগরিকসহ সিটি ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, জালিয়াত চক্র চারটি ব্যাংকের ছয়টি বুথে ‘স্কিমিং ডিভাইস’ ও  ভিডিও ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছিল, যার মাধ্যমে তারা বুথের এটিএম মেশিনে প্রবেশ করানো কার্ডের তথ্য ও পিন নম্বর জেনে নেয়।

পরে এসব তথ্য দিয়ে নকল কার্ড তৈরি করে গ্রাহকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

চলতি বছরের ৬ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জালিয়াতি করে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন, ইউসিবি, সিটি ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪০ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকা তুলেছে চক্রটি।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।