ঢাকা: বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কর্মরত যেসব বিদেশি নাগরিক কর ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে বিদেশি নাগরিকদের তথ্যভাণ্ডার সমন্বিত ডাটা ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভার একটি সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য জানায়।
এনবিআর-এর আয়োজনে সভায় স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চ প্রধান, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র আরও জানায়, টাস্কফোর্স কর ফাঁকি দেওয়া বিদেশিদের ধরতে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানে অভিযান, সন্দেহজনক প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকদের নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে কর্মরত নাগরিকের সংখ্যা, দেশ, বেতন, প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সময়সহ বিস্তারিত জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে এনবিআর।
কর ফাঁকি দেওয়া বিদেশি নাগরিকদের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে কর কমিশনারদের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
কমিশনাররা বিনিয়োগ বোর্ড, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (বেপজা), এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে তথ্য সংগ্রহ করছে।
সূত্র জানায়, দেশের বায়িং হাউজ, বহুজাতিক কোম্পানি, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, বিদ্যুৎ, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন কোম্পানিতে বিদেশি নাগরিকরা কাজ করছেন।
বিদেশিদের মধ্যে ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, পাকিস্তান, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার নাগরিকরা কাজ করছেন। তবে তাদের সঠিক সংখ্যার তথ্য সরকারের কোনো দপ্তরে নেই।
বিদেশি নাগরিকদের আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর প্রযোজ্য হলেও বেশিরভাগ বিদেশি আয় গোপন করে মোটা অংকের কর ফাঁকি দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।
সভায় অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, শনাক্তকারী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় না থাকার কারণে এতোদিন তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সভায় সব সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬
আরইউ/এএ