ঢাকা: এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস স্থাপন করে গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে বানানো নকল কার্ড দিয়ে জালিয়াত চক্র বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক লিমিটেড থেকেই সাড়ে তিন কোটি টাকা তুলে নিয়েছে।
চক্রটি গত বছরে নকল কার্ড দিয়ে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে এই বিপুল অংকের টাকা তাদের আবাসিক হোটেল ও ট্রাভেল এজেন্সির বিল বাবদ পরিশোধ করেছে।
সম্প্রতি দেশের কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে নকল কার্ড দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর আগের এমন জালিয়াতি ধরতে পেরেছে সিটি ব্যাংক।
এ বিষয়ে ব্যাংকটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাশরুর আরেফিনের সঙ্গে আলাপ করলে তিনি বলেন, ২০১৫ সালে সিটি ব্যাংকের পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) মেশিনের মাধ্যমে ৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে জালিয়াত চক্র। সম্প্রতি এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলার পরই আমাদের পয়েন্ট অব সেল মেশিন দুর্ঘটনার উৎস খুঁজে পাচ্ছি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এটিএম বুথে জালিয়াতি করে ধরা পড়লেও প্রতারকদের প্রতারণার মূল জায়গা পয়েন্ট অব সেল মেশিনই ছিল। দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি ব্যাংক এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছিল।
বিষয়টি আলোচনায় এসেছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) গ্রাহক মাহবুবা আকতারের ৮০ হাজার টাকা খোয়া যাওয়া পর।
মাহবুবা আকতারসহ ইবিএল’র ২৮ গ্রাহকের কার্ড নকল করে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টাকা, সিটি ব্যাংকের ৪ গ্রাহকের ১ লাখ ৪০ হাজার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ৭ গ্রাহকের ১ লাখ ২৬ হাজার টাকা এবং মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের (এমটিবি) এক গ্রাহকের কার্ড ক্লোন করে ৪০ হাজার টাকা তুলে নেয় প্রতারক চক্র।
এই জালিয়াতি কার্যক্রমে চারটি ব্যাংকের ছয়টি এটিএম বুথে স্কিমিং ডিভাইস স্থাপন করে চক্রটি। ঘটনাটি জানার পর ইউসিবি বনানী থানায় এবং সিটি ব্যাংক পল্লবী থানায় পৃথক দু’টি মামলা করে।
জালিয়াত চক্রের হোতা সন্দেহে ২২ ফেব্রুয়ারি জার্মানির নাগরিক (প্রথমে পোল্যান্ডের নাগরিক বলে মনে করা হয়) পিতর সেজেপান মাজুরেক এবং সিটি ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা মোকসেদ আল মাকসুদ, রেজাউল করিম ও রেফাত আহমেদ ওরফে রনিকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
এসই/এইচএ/
** ‘ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি বন্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে’