ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে সদ্য পুনর্গঠিত চোরাচালান নিরোধ কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের প্রথম সভা চলছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ সভা শুরু হয়।
সভায় পাওয়ার পয়েন্টে সভার কার্যসূচি উপস্থাপন করেন টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
সভায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের ৪টি, বেনাপোল কাস্টমসের ২টি, ঢাকা কাস্টমস হাউজের ২টি, রাজশাহী কাস্টমসের ২টি, যশোর কাস্টমসের ৩টি, খুলনা কাস্টমসের ১টি, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের ২টি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ১টি ও কোস্টগার্ডের ৪টিসহ মোট ১৭টি বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে।
সভার শুরুতে মো. নজিবুর রহমান বলেন, চোরাচালান নিরোধকে শক্তিশালী করতে প্রতিমাসে এ ধরণের একটি সভা হবে। প্রতিমাসে জেলায় জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়েও সভা হবে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের সাথেও সভা হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চোরাচালানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সময়ের ধারাবাহিকতায় চোরাচালানের নতুন নতুন ধারণা ও ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মানি লন্ডারিংয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ বাণিজ্যিভিত্তিক অর্থপাচারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যার একটি অংশ চোরাচালানের মাধ্যমে সংগঠিত হয়।
তিনি বলেন, এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কাস্টমসসহ অপরাপর দফতর, সংস্থাসমূহ স্ব স্ব ভূমিকা দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পালন করে চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, বিভাগীয় কমিশনাররা, বিজিবি প্রতিনিধি, ডিজিএফআই প্রতিনিধি, এনএসআই প্রতিনিধি, রেলওয়ে পুলিশ সুপার, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারসহ ১৯টি সংস্থার ৪৩ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।
১৯৮৬ সালের পর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি এ টাস্কফোর্স পুনর্গঠন হয়। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানকে সভাপতি করা হয়। সভায় ১৯টি সংস্থার ৪৩ জনকে প্রতিনিধি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
আরইউ