ঢাকা: দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ মুখ্য ভূমিকা পালন না করলেও সামগ্রিক উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণকে কাজে লাগাতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ বলা হলেও কখনো কখনো এ ঋণ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় না।
বেসরকারি সংস্থা ডরপ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডর্প’র প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান এ কথা বলেন।
সোমবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শেওড়াপাড়াস্থ ডর্প কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংস্থার ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের এরিয়া ম্যানেজার, শাখা ব্যবস্থাপক, হিসাব রক্ষক কাম অফিস ম্যানেজারদের দুইদিন ব্যাপী স্বয়ংক্রিয় হিসাব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির পুন: প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে এএইচএম নোমান আরো বলেন, ‘পিকেএসএফ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ছাড়াও দারিদ্র্য বিমোচনে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দক্ষতা উন্নয়নে পিকেএসএফ এর ‘সমৃদ্ধি’ কর্মসূচির পরিধি আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি সংগঠনগুলোকে এক সাথে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারকে পাবলিক পুওর প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপিপি) মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে হবে।
সরকারের সামজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ডর্প প্রবর্তিত ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি করে ২০ বছর মেয়াদে বাস্তবায়ন করে দেশকে সম্পূর্ণরূপে দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।
এএইচএম নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডরপ ম্যানেজার প্রশাসন মো. হায়দার আলী খান, উন্নয়ন গবেষক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের ম্যানেজার অপারেশন শেখ নূর ইসলাম, পরামর্শক মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন ডাটা সফ্ট সিসটেম বাংলাদেশ লিমিটেডের মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. দেলোয়ার হোসেন, ডরপ এর আইটি ম্যানেজার মো. কাউসার আলী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০১৬
আরআই