ঢাকা: পাটকে কৃষিজাত পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (০৬ মার্চ) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ এর সফল বাস্তবায়ন উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান এবং বহুমুখী পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনকালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের পাট রফতানির অর্থ পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হতো। ছয় দফা ঘোষণায় বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক বৈষম্যের ক্ষেত্রে পাটের এ বিষয়টি তুলে ধরেন। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পোস্টারে পাট গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ছিল।
বস্ত্র ও পাট খাতের গত কয়েক বছরের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কথা তুলে ধরে আমাদের সোনালী আঁশ দেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের যে সম্পদ আছে, তা কাজে লাগিয়ে আমাদের চলতে হবে। কারও কাছে হাতে পেতে নয়।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশের পাটকল বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৪ সাল জাতির পিতা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরই) প্রতিষ্ঠা করেন। পাটজাত পণ্য উৎপাদন ও রফতানি সংস্থা ‘বিজেএমসি’ গঠন করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর পাটখাতে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯১ সালে পার্লামেন্টে পাটকল বন্ধের কথা তোলা হয়। অন্যদিকে, ঠিক সেই সময়েই ভারত পাটশিল্পকে গুরত্ব দিয়ে পাটকল চালু করতে থাকে। কিন্তু সোনালী আঁশের দেশ হলেও আমাদের দেশে বন্ধ হতে থাকে পাটকলগুলো। ২০০২ সালের ৩০ জুন এশিয়ার সর্ববৃহৎ পাটকল আদমজী মিল বন্ধ করে দেয় বিএনপি। এতে মিলের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৬
এমইউএম/আরএইচএস/পিসি/এএসআর
** দেশের সমৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে সোনালী আঁশ