ঢাকা: পল্লী বিদ্যুতায়ন সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের ১৫ লাখ গ্রাহককে নতুন ভাবে বিদ্যুতের আওতায় আনার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) একনেক বৈঠকে এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, নতুন করে সংযোগের মাধ্যমে দেশের ১৫ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হবে। এর মোট ব্যয় ৬ হাজার ৯১৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। যা সমগ্র বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করা হবে।
বৈঠকে এই প্রকল্প ছাড়াও আরও ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
১৬টি প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৮৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প সহযোগিতা হিসেবে দাতা গোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া যাবে ২ হাজার ২৫০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। বাকি টাকা বাংলাদেশের সরকার দেবে।
বিদ্যুতায়ন প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। দেশের ৬১টি জেলার ৭৭টি সমিতির আওতায় বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পটি।
বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প (ব্যয় ২ হাজার ২৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা), ছাতক সিমেন্ট কোম্পানি লিমিডেটের উৎপাদন পদ্ধতি ওয়েট প্রসেস থেকে ড্রাই প্রসেস এ রূপান্তরকরণ প্রকল্প (ব্যয় ৬৬৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা) এবং খুলনা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প (ব্যয় ১৮৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা)।
আর ৪৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জাতীয় বেতার ভবনে আধুনিক ও ডিজিটাল সম্প্রচার যন্ত্রপাতি স্থাপন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৮৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।
জামালপুর শহরের নগর স্থাপত্যের পুনঃসংস্কার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে জরুরি সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও সংস্থাপন প্রকল্পও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
নয়টি পুলিশ সুপার কার্যালয় ভবন নির্মাণ (সিআইডি ও পিবিআই অফিসসহ) প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
সিলেট বিভাগ গ্রামীণ অ্যাকসেস সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে ২৮৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। ৩ হাজার ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান- তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সিলেটে হাইটেক পার্কের (সিলেট ইলক্ট্রনিকস সিটি) প্রাথমিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকেল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় করা হবে ১৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ১ হাজার ২৯২ কোটি ৬১ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
২৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ইস্কাটনে ১১৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। সাড়ে ৭ বিঘা জমিতে সিনিয়র সচিব, সচিব ও গ্রেড-১ কর্মকর্তাদের জন্য উন্নতমানের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৬, আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা
এমআইএস/এমএ