ঢাকা: ভারত থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনাসহ নতুন ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অগ্রহণযোগ্য প্রস্তাবনার কারণে নৌ-বাহিনীর একটি প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
নতুন অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো- ভারত থেকে আগে কেনা ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনায় সিস্টেম লসের ঘাটতি মেটাতে আরো ৪০ মেগাওয়াট ও ত্রিপুরার পালাটানা থেকে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন’ প্রকল্পে জার্মান কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগ, গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক সড়কের চরসিন্দুরে শীতলক্ষা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারে ৪০ কিলোমিটার নদী খনন, পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল নদী শাসন প্রকল্পের উজানে মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট থেকে কান্দিপাড়া–যশোলদিয়া বরাবর ১৩শ’ মিটার পরীক্ষামূলক নদী শাসন প্রকল্প, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পশ্চিম পাড় সংরক্ষণে ৫.৯ কিলোমিটার সংরক্ষণ বাধ নির্মাণ প্রকল্প, গঙ্গা ব্যারেজ প্রকল্পে আগের সম্ভাব্যতা যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দ্বিতীয় চুক্তি এবং সৌদি আরব থেকে দেড় লাখ টন ডিএফপি সার আমদানি প্রকল্প।
বাদ যাওয়া নৌ-বাহিনীর প্রকল্পটি হলো- নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের বাস্তবায়নাধীন রাজপাড়া-পায়রা বন্দর চারলেন সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
বুধবার (০৯ মার্চ) বিকালে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষেত্রে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি কিলোওয়াট সাড়ে চার টাকা, আর ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুতের দাম ধরা হয়েছে প্রতি কিলোওয়াট সোয়া চয় টাকা। পালাটানার বিদ্যুতের দাম প্রতি বছর ৫ শতাংশ করে বাড়বে। ১২.৬০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে এসপিএম প্রকল্পে এক জার্মান কোম্পানিকে পরামর্শক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চরসিন্দুর সেতুর জন্য জন্মভূমি-ওয়াহিদুজ্জামান কোম্পানিকে কাজ দেওয়া হয়েছে ৬২ কোটি ৭৬ লাখ টাকায়। বুড়িগঙ্গা পুনরুদ্ধারের জন্য নৌ-বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ৬৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকায় ৪০ কিলোমিটার নদী খননের কাজ। ৩৯২ কোটি টাকায় সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে পদ্মাসেতুর পরীক্ষামূলক নদী শাসনের কাজ। যমুনা নদীর ৫.৯ কিলোমিটার পশ্চিম পাড় সংরক্ষণে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে নৌ-বাহিনীকে। দেড় লাখ টন ডিএফপি সার আমদানির আনুমানিক দাম ধরা হয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
আরএম/এএসআর