ঢাকা: আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ নাইজেরিয়ায় রফতানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের মাধ্যমে দেশটির বাজারে প্রবেশের পর অন্য পণ্যও যাবে।
জে অ্যান্ড কে ওয়ালটন টেকনোলজিস নাইজেরিয়া লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনসন অগবুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর তারা রাজধানীর মতিঝিলে প্রধান কার্যালয়ে মঙ্গলবার (০৮ মার্চ) ওয়ালটন গ্রুপের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কোম্পানির ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম রাকিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাইজেরিয়ায় ওয়ালটন পণ্য রফতানি প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ওয়ালটনের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ১৯টি দেশে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটনের পণ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আগে আফ্রিকার সুদানে গেছে ওয়ালটন পণ্য। রফতানির তালিকায় এবার নতুন করে যুক্ত হলো নাইজেরিয়া। নাইজেরিয়ায় ওয়ালটন পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘জে অ্যান্ড কে ওয়ালটন টেকনোলজিস নাইজেরিয়া লিমিটেড’।
নাইজেরিয়ায় পণ্য রফতানির আগে সে দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সনক্যাপ (স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন অব নাইজেরিয়া কনফারমিটি অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম)-এর সনদ পেয়েছে ওয়ালটন।
ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রধান রকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ১৮ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ নাইজেরিয়া খুব সম্ভাবনাময় একটি বাজার। উচ্চ গুণগত মান ধরে রেখে পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে নাইজেরিয়ার বাজারে ওয়ালটন শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।
জে অ্যান্ড কে ওয়ালটন টেকনোলজিস নাইজেরিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনসন অগবু বলেন, নাইজেরিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ডগুলোর তুলনায় ওয়ালটন পণ্যের দাম অনেক সাশ্রয়ী এবং মানের দিক থেকেও আরো উন্নত।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৬
জেডএস