ঢাকা: উন্নত জাতের মুক্তা উৎপাদনকারী ঝিনুক সংগ্রহ এবং মুক্তা চাষ সংক্রান্ত প্রযুক্তির উন্নয়নের লক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ভিয়েতনাম যাচ্ছেন।
ছয় দিনের সফরে তারা ভিয়েতনামের বড় আকারের উন্নত প্রজাতির ঝিনুক ও মুক্তা চাষ পরিদর্শন এবং সেখান থেকে উক্ত ঝিনুক সংগ্রহের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে তারা ভিয়েতনাম যাত্রা করবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘মুক্তাচাষ প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় গবেষণার মাধ্যমে মুক্তা উৎপাদনের সফল কৌশল ও প্রযুক্তি অর্জন করলেও দেশীয় ছোট প্রজাতির ঝিনুক থেকে ব্যাপকভাবে মুক্তা উৎপাদন করতে পারছেন না বলে জানায় মন্ত্রণালয়।
দেশীয় মুক্তা থেকে সর্বোচ্চ ৮-১০টি পর্যন্ত মুক্তা উৎপাদন করা গেলেও ভিয়েতনামের মুক্তা থেকে ৩০-৪০টি পর্যন্ত ভালো ও আকারের মুক্তা উৎপাদন সম্ভব।
এ কারণেই ‘মুক্তাচাষপ্রযুক্তি উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাঁচজন বিজ্ঞানী ২০১৫ সালের ১২-১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনামের ‘স্বাদু পানির এবং সামদ্রিক ঝিনুক’ থেকে ব্যাপকভাবে মুক্তাচাষের বিষয়টি সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ভিয়েতনামের আমন্ত্রণেই উন্নত জাতের ঝিনুক সংগ্রহ সংক্রান্ত কার্য সম্পাদনের জন্যই এই ভিয়েতনাম যাত্রা বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর ভিয়েতনাম সফরকালে উভয়দেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংক্রান্ত পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতার লক্ষে ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১২ সালের ২ নভেম্বরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের আওতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর।
প্রতিনিধিদলের অপর সদস্যরা হলেন- মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মৎস্য) মো. আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহসেনা বেগম তনু, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র বর্মন ও মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
এমআইএইচ/পিসি