ঢাকা: উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানো কম বেশি সবারই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু টিউশন ফি, থাকার খরচসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় থেমে যায় সে স্বপ্ন।
তবে মনের মধ্যে গেথে রাখা ওই স্বপ্ন যেন প্রতিবন্ধকতায় থেমে না যায়, সে লক্ষ্যেই থাইল্যান্ডে আকর্ষণীয় কম খরচে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে ‘কাশেম বান্দিত ইউনিভার্সিটি’ (কেবিইউ)।
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাত্র সাত লাখ ৭০ হাজার টাকায় টিউশন ফিসহ আনুসঙ্গিক সব খরচের মধ্য উচ্চ ডিগ্রি সম্পাদন করা যাবে। আর মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকায় থাকার ব্যবস্থাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরার গুলনকশা হলে চলা ‘থাইল্যান্ড ইউইক ২০১৬’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত থাই পণ্যের মেলায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলের কর্মীরা জানালেন এমন তথ্য।
শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে কেবিইউ’র স্টলে গেলে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন তারা। চার দিনব্যাপী এ ‘থাইল্যান্ড ইউইক ২০১৬’ এর পর্দা নামবে রাতে।
স্টল কর্মীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ব্যাচেলর ও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রামে এ অফার দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রোগ্রামই আন্তর্জাতিক মানের।
স্টলের কর্মীরা জানান, প্যাকেজের মধ্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় দু’টি বিভাগ হলো অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (বিবিএ) ও হোটেল ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (বিবিএ)। এতো স্বল্প খরচে বাস্তব শিক্ষাসহ এসব বিষয়ে উচ্চ ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ খুব বেশি নেই বললেই চলে।
এছাড়াও সাত লাখ ৭০ হাজার টাকায় শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন, সেগুলো হলো- বিজনেস কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট (বিবিএ), ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (বিবিএ), মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট (বিবিএ), থাই ফর ফরেইনার ডিপার্টমেন্ট (বিএ), ইংরেজি ফর কমিউনিকেশন ডিপার্টমেন্ট (বিএ), মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম)।
কেবিইউ, থাইল্যান্ডের বাংলাদেশের সমন্বয়ক মোহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের অফার সত্যিই খুবই প্রশংসনীয়। অনেকেই সামান্য টাকা ঘাটতি থাকায় বিদেশে পড়ার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত হন।
তিনি জানান, বলা যেতে পারে, মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের এ ধরনের সমস্যায় পরতে হয়। মূলত এ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য এ অফারটি অনেক বড় সুযোগ করে দেবে। এছাড়া স্টলে উপস্থিত থেকে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফর অ্যাডমিশন অ্যায়ার্স) ড. সুয়াত সোয়ান্দি।
স্টলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষকের মানসম্মত পাঠদান করে থাকেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উপকরণ ও সরাঞ্জামাদির মাধ্যমে বাস্তবসম্মত ব্যবহারিক পাঠদান করা হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা পুরোপুরি উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে সক্ষম হন।
নিজস্ব ক্যাম্পাসে আধুনিক মানের ভবন রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। যেখানে শিক্ষার্থীরা মনোরম পরিবেশ শিক্ষাগ্রহণ করতে পারছেন। ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও অনেক ভালো।
এছাড়া ব্যাংকক থেকে থাইল্যান্ড এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের ব্যবস্থাও রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বেন না। তাদের গুণগত মানসম্মত পাঠদানের উদ্দেশ্যেই এ প্রতিষ্ঠানের পথ চলা।
এ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে www.kbu.ac.th , ফোন করে জানা যাবে +8801819141806 নম্বরে।
গত বুধবার (১৬ মার্চ) চার দিনব্যাপী এ থাইল্যান্ড উইক’র উদ্বোধন করা হয়। শনিবার পর্দা নামবে এ আয়োজনের। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখতে পারছেন। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
আয়োজকরা জানান, গার্মেন্টস ও ফ্যাশন পণ্য, খাবার ও পানীয়, ভারী শিল্প, গৃহস্থালি ও আনুষঙ্গিক পণ্য উৎপাদনকারী ৩৯টি থাই প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে এ প্রদর্শনীতে। যৌথভাবে এ মেলার আয়োজনে করেছে থাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড প্রমোশন (ডিআইটিপি) এবং ঢাকার রয়্যাল থাই দূতাবাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
একে/এএসআর
** শেষদিনে বাহারি থাই পণ্যের মেলা
** দর্শনার্থী-ক্রেতার পদচারণায় মুখর থাই পণ্য মেলা
** থাইল্যান্ড উইকে রসালো থাই ফল
** পণ্য কিনলে মিলছে মূল্যছাড় ও উপহার
** বসুন্ধরা কনভেনশনে এক টুকরো থাইল্যান্ড
** কেনাকাটা ও বিনোদন একসঙ্গে যেখানে
** সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে থ্যাইল্যান্ড সপ্তাহ শুরু