ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার সময় দেশের বাইরে থাকায় সংবাদকর্মীরা নাগাল পাননি ফজলে কবিরের। তাই ১৭ মার্চ ভোরে দেশে ফেরার পর অনেকেই তার সঙ্গে কথা বলেছেন বিমানবন্দরে।
ফজলে কবিরের বাসায়ও গেছেন সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়েও নতুন গভর্নরের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে শুক্রবারও সংবাদকর্মীদের অবস্থান ছিলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে।
নতুন গভর্নরকে নিয়ে কৌতুহলের অন্ত না থাকায় ২০ মার্চ সকাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একঝাঁক সংবাদকর্মীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। একই সঙ্গে অবস্থান করতে দেখা যায় দুই ডেপুটি গর্ভনর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান ও এস কে সূর চৌধুরীকেও।
সকাল গড়িয়ে ভরদুপুর। ঘড়ির কাঁটা সবে বেলা ১২টার ঘর ছাড়িয়েছে। যোগদান করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এলেন নতুন গভর্নর ফজলে কবির। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে দপ্তরে নিয়ে যান দুই ডেপুটি গর্ভনর। সেখানে স্বাগত জানান উপদেষ্টা, নির্বাহী পরিচালক। এরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ফজলে কবির।
দুপুরের পর রিজার্ভ চুরির বিষয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন উপদেষ্টা আল্লাহ মালেক কাজেমী, বীরুপাক্ষ পাল ও ফয়সল হোসেনের সঙ্গে।
এসময় তিনি রিজার্ভ চুরির বিষয়টি ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কাজ এবং কথা বলবেন না বলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেন। পরবর্তী বৈঠকে ছিলেন নির্বাহী পরিচালকরা। পর্যায়ক্রমে একই ধরনের বৈঠক করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
অফিস শেষ করে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেরিয়ে যান গর্ভনর। পরের দিন সোমবার (২১মার্চ) সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো অফিসে আসেন গর্ভনর।
সাড়ে দশটার দিকে তাকে অভিনন্দন জানাতে আসেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) প্রতিনিধি দল। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, গভর্নর সারাদিনই ব্যস্ত ছিলেন রিজার্ভ চুরির বিষয়ের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে।
মাঝে-মধ্যেই দেখা করেছেন দুই ডেপুটি গর্ভনর, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপকরা। দিন শেষে সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বেরিয়ে যান ফজলে কবির।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৬
এসই/জেডএম